মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত রাত থেকে সাগর ও নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আর প্রশাসনের এই নির্দেশনা মেনে বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর থেকেই দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে সমুদ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে অসংখ্য ট্রলার। এই জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪০ হাজার ৫০০ জন।
এফ বি সুলতান ট্রলারের মালিক সুলতান ফরাজী রাইজিংবিডিকে বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে মধ্যরাত থেকে। আমার তিনটি ট্রলার আজ দুপুরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নোঙর করেছে। এই ২২ দিন জেলেরা ছুটিতে থাকবেন।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে জারি করা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় উপকূলীয় এলাকার ট্রলার মালিক ও জেলেরা মাছ শিকারে যাবেন না। ইতোমধ্যেই অন্তত তিন হাজার ট্রলার পাথরঘাটার বিএফডিসি, মাছের খাল, চরদোয়ানী, পদ্দা এলাকায় নোঙর করেছে। গভীর সাগর থেকে এখনো অনেক ট্রলার ঘাটের দিকে ফিরছে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, গত ১৫ দিন ধরে জেলে পল্লীসহ ছোট-বড় সব বাজারে ২২ দিনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এখনো প্রচার করে যাচ্ছি আমরা। এর আগে কয়েক দফা জেলে, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, ট্রলার মালিকদের নিয়ে আমরা সমন্বয় সভা করেছি।
তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞায় উপকৃত হবে জেলেরা। দেশে ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা কেউ অমান্য করলে আমরা কঠোরভাবে তাদের দমন করবো। জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা প্রদান করা হবে। সরকারের দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা আমরা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর।