পঁচা শামুকে পা কাটা যাকে বলে! উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামালো পুচকে নেদারল্যান্ডস। শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রোটিয়াদের, কিন্তু ডাচদের কাছে এসে দেখতে হলো মুদ্রার উল্টো পিঠ।
দু’দিন আগে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের ঘটনা ঘটায় আফগানিস্তান। এই ক্ষত না মুছতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয় অঘটনের জন্ম দিলো নেদারল্যান্ডস।
ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস। তাড়া করতে নেমে ২০৭ অলআউট হয় টেম্বা বাভুমার দল। ৩৮ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ডাচরা। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপেও হারালো তারা।
এদিন ৮ ওভারে ৩৬ রান তুলে ভালো শুরুর বার্তা দিয়েছিলেন ডি কক-বাভুমা। দুজন ফিরতেই শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। ডি কক ২০ ও বাভুমা ১৬ রান করেন। ক্রিজে এসে রসি ভ্যান ৪ ও মার্করাম ১ রানে ফিরলে বিপদ বাড়ে।
এবার এক প্রান্তে ডেভিড মিলার আরেক প্রান্তে হ্যানরি ক্লাসেন প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজন থিতু হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ক্লাসেন ২৮ ও জীবন পাওয়া মিলার ৪৩ রানে ফিরলে আফ্রিকার জয়ের সম্ভাবনা আরও মিইয়ে যায়। শেষ দিকে জেরাল্ড ২২ ও মহারাজ ৪০ রান করে ডাচদের জয়ের অপেক্ষা বাড়ান শুধু।
ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন লোগান ভ্যান বিক। মিকিরিন, রোয়েলফ ও বাস ডি লিড নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে ডাচদের এক ইনিংসের ছিল দুই রং। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটির রান ছিল ৩৩ ওভারে সাত উইকেটে ১৪০। সেখান থেকে অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের ঝড়ে রান আড়াইশর কাছাকাছি চলে আসে। মাত্র ৬৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন রোয়েলাফ ভ্যান-আরিয়ান দত্ত।
অষ্টম উইকেটের জুটিতে রোয়েলাফকে সঙ্গে নিয়ে স্কট যোগ করেন ৩৭ বলে ৬৪ রান। ১৯ বলে ২৯ রান করে রোয়েলাফ ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর স্কটের সঙ্গী হন আরিয়ান। দুজনে এবার মাত্র ১৯ বলে ৪১ রান যোগ করে। তাতে আরিয়ানের অবদান ৯ বলে ২৩ রান!
এর আগে সর্বোচ্চ ২০ রান করে তেজা নিদামানুরু। এ ছাড়া সিব্র্যান্ড ১৯ ও ম্যাক্স ১৮ রান করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাদা।
৭ উইকেট যাওয়ার পর এমন রান নেওয়ার ঘটনা ডাচ ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটেছে। তবে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এটাই প্রথম।