সারা বাংলা

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: চট্টগ্রাম এখন উৎসবের নগরী

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন এবং এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম।

টানেলের বহিরাংশকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এবং অপর প্রান্তের আনোয়ারা অংশে সাজানো হয়েছে মনোরমভাবে। দুই দিন ধরে টানেল উৎসব পালন করছে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগীসংগঠনগুলো।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জানান, আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরণকালের বৃহত্তম। কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ জনসভায় যোগ দেবে। জনসভা উপলক্ষে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

টানেল উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠ পরিদর্শন ও সার্বিক প্রস্তুতি বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) পরিদর্শন করেন তিনি। এই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনসভার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মঞ্চ ও সাজসজ্জার কাজও শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি, এটি স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসভা হবে। যেহেতু টানেলটি ঐতিহাসিক প্রজেক্ট। সুতরাং এটিকে কেন্দ্র করে জনসভাও হবে ঐতিহাসিক। আর এটি হবে স্মার্ট জনসভা।’

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল একসময় আমরা উন্নত দেশে দেখতাম। অবাক করার বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই প্রকল্প বাংলাদেশে তৈরি করেছেন। এর ফলে কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। যারা ঢাকা ও উত্তরবঙ্গ থেকে কক্সবাজার যাবে টানেল তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ 

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে পৃথক পৃথক শোভাযাত্রা আয়োজন করছে আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। দক্ষিণ জেলার আনোয়ারাতে টানেল উৎসবের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিশাল শোভাযাত্রা হয়। 

আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।