খেলাধুলা

পাকিস্তানের তৃতীয় জয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ হার

|| সংক্ষিপ্ত স্কোর || বাংলাদেশ: ২০৪/১০ (৪৫.১ ওভার) পাকিস্তান: ২০৫/৩ (৩২.৩ ওভার) ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী ম্যাচসেরা: ফখর জামান (পাকিস্তান)।

টানা চার ম্যাচ হারার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো পাকিস্তান। সপ্তম ম্যাচে তাদের তৃতীয় জয়ের দিনে বাংলাদেশ টানা ষষ্ঠ হারের তিক্ত স্বাদ পেলো। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয়। জবাবে ফখর জামান ও আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেট ও ১০৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে পাকিস্তান।

মিরাজের তৃতীয় শিকার ফখর: মিরাজের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ব্যাটসম্যান ফখর জামান। দলীয় ১৬৯ রানের মাথায় মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। মাত্র ৭৪ বলে ৩টি চার ও ৭ ছক্কায় ৮১ রান করে যান। ১৯ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার বাবর: ২৫.৪ ওভারে ১৬০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন অধিনায়ক বাবর আজম। ১৬ বলে ১ চারে ৯ রান করে লং অনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

২৫ ওভারেই দেড়’শ পেরিয়ে পাকিস্তান: ২৫ ওভারেই দেড়’শ রান পেরিয়েছে পাকিস্তান। ফখর জামানের ৭৩* ও বাবর আজমের ৯* রানের ইনিংসে ভর করে ২৫ ওভারে পাকিস্তানের রান ১৫৩। জিততে প্রয়োজন মাত্র ৫২ রান পরবর্তী ২৫ ওভারে। হাতে আছে ৯ উইকেট।

মিরাজ ভাঙলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা উদ্বোধনী জুটি: অবশেষে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভাঙলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। তার করা ২২তম ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান আব্দুল্লাহ শফিক। যাওয়ার আগে ৬৯ বলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করে যান। ফখর জামানের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে যান ১২৮ রান। জয়ের দারুণ ভিত গড়ে দিয়ে গেলেন তিনি।

আব্দুল্লাহ-ফখরের জোড়া ফিফটিতে শতরান পেরিয়ে পাকিস্তান: আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামানের জোড়া ফিফটিতে ভর করে রীতিমতো উড়ছে পাকিস্তান। ইতোমধ্যে ২১ ওভারেই তারা তুলে ফেলেছে ১২৮ রান। আব্দুল্লাহ ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রানে ও ফখর ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন। তার আগে আব্দুল্লাহ ৫৬ বলে ও ফখর ৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন।

আব্দুল্লাহ-ফখরে দিশেহারা বাংলাদেশের বোলাররা: সতর্ক শুরুর পর পাওয়ার প্লেতে ৫২ রান তোলেন আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান। এরপর আস্তে আস্তে মারমুখী হয়ে ওঠেন তারা। তাতে ১৫ ওভারেই ৮৬ রান তুলেছে পাকিস্তান। এই দুই ব্যাটসম্যানের সামনে রীতিমতো অসহায় বাংলাদেশের বোলাররা। এই জুটি ভাঙতে গলদঘর্ম হচ্ছেন তারা। আব্দুল্লাহ ৮ চারে ৩৯ রানে ও ফখর ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লে’তে দারুণ খেললো পাকিস্তান: সতর্ক শুরুর পর পাওয়ার প্লে’তে দারুণ খেললো পাকিস্তান। বিনা উইকেটে তারা তুললো ৫২ রান। ১০ ওভার শেষে আব্দুল্লাহ শফিক ২০ ও ফখর জামান ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

পাকিস্তানের সতর্ক শুরু: ২০৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক সূচনা করেছে পাকিস্তান। ৫ ওভারে বিনা উইকেটে তারা তুলেছে ২৩ রান। আব্দুল্লাহ শফিক ১১ ও ফখর জামান ১০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

পাকিস্তানকে ২০৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ: টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারলো না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বোলিং তোপের মুখে ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে তারা। জিততে পাকিস্তানকে করতে হবে ২০৫ রান।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। এছাড়া লিটন দাস ৪৫ ও সাকিব আল হাসান করেন ৪৩ রান। গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি রান আসে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ-ই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

বল হাতে শাহীন আফ্রিদি ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৩ রান দিয়ে ৩টি উইকটে নেন। ওয়াসিম ৮.১ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকটে। হারিস রউফ ৮ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ইফতিখার আহমেদ ও উসামা মীর।

২০৪ রানেই অলআউট বাংলাদেশ: এক ওভার পর ফিরে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিলেন ওয়াসিম। তার ইয়র্কার বল মোস্তাফিজ ব্যাটে লাগালেও ব্যাট ছুঁয়ে প্যাড ছুয়ে শেষ পর্যন্ত স্ট্যাম্পে গিয়ে আলতো করে আঘাত করে। ৭ বল খেলে ৩ রান করা ফিজ শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান। ৭ বলের ব্যবধানে তিন-তিনটি উইকেট তুলে নেন ওয়াসিম।

২০১ রানেই ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের: ওয়াসিমের একই ওভারের তৃতীয় বলে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওয়াসিমের সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান তাসকিন আহমেদ। ১৩ বল খেলে ৬ রান করেন তাসকিন। এক ওভারেই ২ উইকেট তুলে নিলেন ওয়াসিম।

অষ্টম উইকেট হারালো বাংলাদেশ: সাকিব ফেরার পর মিরাজে ভরসা পাচ্ছিল বাংলাদেশ। একটা লড়াকু সংগ্রহের আশাও উঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু দলীয় ২০০ রানের মাথায় মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১৪০ কিলোমিটার গতির লেন্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। তাতে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩০ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করে যান তিনি।

সাকিবের বিদায়ে বিপাকে বাংলাদেশ: হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ইফতিখারের এক ওভারে পর পর তিনটি চার মারেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু দলীয় ১৮৫ রানের মাথায় হারিস রউফের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে ভুল করে বসেন। বল টপ এজ হয়ে মিডউইকেটে আগা সালমানের হাতে জমা হয়। ৬৪ বলে ৪টি চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

ষষ্ঠ উইকেট হারালো বাংলাদেশ: শুরুটা ভালোই করেছিলেন নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়। প্রথম বলে ১ রান নেন। এরপর উসামা মীরের বলে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু পরের বলেই আউট হয়ে যান তাওহীদ। উসামার ঝুলিয়ে দেওয়া অফের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে প্রথম স্লিপে ইফতিখারের হাতে জমা হয়। ৩ বলে ১ ছক্কায় ৭ রান করে ফেরেন তিনি।

ফিফটির পর ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ: ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১৩০ রানের মাথায় শাহীন আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। যাওয়ার আগে ৭০ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করে যান। শাহীনের এটা তৃতীয় উইকেট। এর আগে তিনি তানজিদ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।

মাহমুদউল্লাহর ফিফটি: দারুণ একটি ফিফটি তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫৮ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি পূর্ণ করেন। তার ফিফটিতে ভর করে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য হাসছে তার ব্যাট। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১*, ভারতের বিপক্ষে ৪৬, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করেছিলেন ২০ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষের এই ইনিংসটিকে কতোদূর টেনে নিতে পারেন দেখার বিষয়।

দলীয় রান ১০০ পেরুতেই ফিরলেন লিটন: ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের হাল ধরেন। তারা দুজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৯ রানে ৭৯ রান সংগ্রহ করে। তাতে বাংলাদেশের রানও ১০০ পেরোয়। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরুতে না পেরুতেই আউট হয়ে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ইফতিখার আহমেদের বলে মিডউইকেটে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৬৪ বল খেলে ৬টি চারে ৪৫ রান করে যান লিটন।

লিটন-মাহমুদউল্লাহ জুটির ফিফটি: ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি ইতোমধ্যে ফিফটি রান তুলেছে। ৭২ বলে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেছে ৫৮ রান। ১৮ ওভার পর্যন্ত লিটন ৩৮ ও মাহমুদউল্লাহ ৩২ রানে ব্যাট করছেন। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছে বাংলাদে।

পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৩৭ শুরু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আরও একবার পাওয়ার প্লেতে প্রত্যাশামত রান তুলতে পারলো না বাংলাদেশ। প্রথম দশ ওভারে ৩ উইকেটে এলো ৩৭ রান। তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম; তিন জনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যর্থ রিভিঊ মুশফিকের আউটের পর নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে দ্রুত ফেরাতে রিভিউ নিয়ে ব‍্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। হারিস রউফের বল পা এগিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব‍্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। রউফের আগ্রহে রিভিউ নেন বাবর আজম। রিভিউতে দেখা যায়, বল যেতো লেগ স্টাম্পের উপর দিয়ে। সে সময় ২ রানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

এক ওভারে তিন চার ও মুশফিকের বিদায় হারিস রউফের ওভারটি হতে পারতো বাংলাদেশের মোমেন্টামের। হলো উল্টো। তার দুটি ফুললেংথের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে দুটি চার মেরে শুরু করেন লিটন। পরে ফুললেংথে পেয়ে স্কয়ার ড্রাইভে ওভারের তৃতীয় চারটি মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু এরপর লেংথ পিছিয়ে নিলেন হারিস।ধরা খেলেন মুশফিক। খোঁচা দিয়ে আউট।

শাহীন শাহর ১০০* ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ব্যাটারকে আউট করে পেসারদের মধ্যে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে আফ্রিদি (৫১ ম্যাচ) ছাড়িয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ককে (৫২ ম্যাচ)। তানজিদ হাসানের উইকেটটি ছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির ক্যারিয়ারের ১০০তম।

এবার নেই শান্ত তানজীদের পর নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। শরীর থেকে বেশ দূরে থেকে ঘুরিয়ে খেলেছিলেন শান্ত। শর্ট মিডউইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন উসামা মীর।আউটের আগে ৪ রান করেছেন শান্ত।

শূন্যতেই নেই তানজিদ শাহিন শাহ আফ্রিদির ভেতরের দিকে ঢোকা বল। পা নাড়ানোর সুযোগ পাননি তানজীদ। হয়েছেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিলেও তা কাজে আসেনি, উইকেটে ছিল আম্পায়ার্স কল। তানজিদ ফিরেছেন কোনো রান না করেই, বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না তুলতেই।

মেহেদীর জায়গায় দলে হৃদয় পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।শেখ মেহেদী হাসানের জায়গায় দলে ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়। মানে একজন ব্যাটসম্যান বাড়ানো হয়েছে। 

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।

পাকিস্তান একাদশে তিন পরিবর্তন ফখর জামান, আগা সালমান ও উসামা মীর ফিরেছেন দলে। জায়গা হারিয়েছেন ইমাম-উল-হক, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। মীর অবশ্য আগের ম্যাচে দলে এসেছিলেন শাদাবের কনকাশন-বদলি হিসেবে। 

পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, উসামা মির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ।

টস ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ফিল্ডিং করবে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের সুযোগের ম্যাচ, জয়ের বিকল্প নেই এই ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য সুযোগের সদ্ব্যবহার করার ম্যাচ। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে এই ম্যাচে সাকিবদের জিততেই হবে। কেননা, চলতি বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৭টি দলই কেবল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ পাবে। সে হিসেবে পয়েন্ট টেবিলে সেরা সাতে থাকতে হলে বাংলাদশের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।

পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মাঠের লড়াইয়ের আগে দুই দলের অতীত পরিসংখ্যানের খাতা থেকে একবার ঘুরে আসা যাক। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৩৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় পাঁচটিতে এবং বাকি ৩৩ ম্যাচেই হেসেছে পাকিস্তান।

এই ফরম্যাটে গত সেপ্টেম্বরে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এশিয়া কাপে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল দুই দলের। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। 

বিশ্বকাপের হিসেব ঘাটলে দেখা যায়, এর আগে মাত্র দুইবার বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাতে দুই দলের জয়-পরাজয়ের হার ফিফটি-ফিফটি। দুই দলই একবার করে ম্যাচ জিতেছে।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই অঘটনের জন্ম দেয় বাংলাদেশ। শক্তিশালী পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে ৬২ রানের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এরপর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরে ৯৪ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে পরিসংখ্যানে সমতা টানে পাকিস্তান।