আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে বুধবার (১ নভেম্বর) ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা রয়েছে। অন্য ৯টি মামলায় ইতিমধ্যে পাপিয়া জামিনে থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২১ সালের মার্চ মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শাহীন আরা মমতাজ। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকবই, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় অর্থপাচার মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাসহ ১০টি মামলা করা হয়।
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনে করা মামলায় পাপিয়া দম্পতিকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।