স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্য ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সক্ষমতার রেকর্ড গড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জনের খাতায় যুক্ত হবে আরেকটি গৌরব।
আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) থেকে অধিগ্রহণ করা চ্যানেলটি চালুর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএ সচিব ওমর ফারুক। ২০২৬ সালে বন্দরটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন। সেদিন ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি এবং ১৮.৫ মিটার ড্রাফ্ট (জাহাজের নীচের অংশ) সহ ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বহুমুখী জেটি এবং একটি কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর অন্যান্য সুবিধার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই উন্নয়নের ফলে ৮০০০ থেকে ১০,০০০ কন্টেইনার জাহাজ সরাসরি জেটিতে প্রবেশ করতে পারবে।
সিপিজিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলটি সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেলের কাছে হস্তান্তর করেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিপিজিসিবিএল ইতোমধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশ হিসাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এই চ্যানেলের মাধ্যমে ১২০টি জাহাজ চলাচলের জন্য চ্যানেল এবং দুটি জেটি নির্মাণ করেছে।
দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রায় ১৭,৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের জন্য চ্যানেলের প্রস্থ ১০০ মিটার বাড়িয়ে ৩৫০ মিটার করা হয়েছে।