বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ও যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে এই ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অজিদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে। ইব্রাহিম জাদরানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছে। জিততে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ২৯২ রান।
ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা ভালোই করে আফগানরা। অবশ্য ৩৮ রানের মাথায় রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায়। ২ চারে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সেখান থেকে ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ ১০০ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে এগিয়ে নেন। দলীয় ১২১ রানের মাথায় রহমত ফেরেন ১ চারে ৩০ রান করে।
এরপর ইব্রাহিম ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি তৃতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন মূল্যবান ৫০ রান। দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় ফেরেন এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে থাকা হাশমতউল্লাহ। অধিনায়ক ২ চারে ২৬ রান করেন।
২১০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১ চার ও ২ ছক্কায় ২২ রান করে আউট হন।
এর মাঝে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম আফগান ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইব্রাহিম। ১৩১ বলে ৭ চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান তিনি। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
মোহাম্মদ নবী এসে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ছক্কা হাঁকিয়ে। কিন্তু ১০ বলে ১২ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর ইব্রাহিম ও রশিদ খান মিলে ঝড় তোলেন। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন মাত্র ২৮ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৫৮* রান। সেখানে ১৮ বলে ৩৫ রান যোগ করেন রশিদ। আর ১০ বলে ২১ রান যোগ করেন ইব্রাহিম।
শেষ পর্যন্ত ইব্রাহিম অপরাজিত থাকেন ১৪৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৯ রানে। আর রশিদ ১৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ রানে। তাতে আফগানিস্তান ২৯১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায়।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলেউড ৯ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। তার মধ্যে স্টার্ক ছিলেন ব্যায়বহুল। ৯ ওভারে দেন ৭০ রান।