ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শুরুটা হলো স্বপ্নের মতো। কিন্তু সেটা আর বাস্তবায়ন করতে পারলো না এরিক টেন হাগের দল। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্মরণীয় এক জয় পেলো কোপেনহেগেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার (৮ নভেম্বর) সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছে কোপেনহেগেন।
ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত শুরু করে ইউনাইটেড। তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে ওয়ান-বিসাকার পাস বক্সে পেয়ে গোলমুখে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান স্কট ম্যাকটমিনে। ফাঁকায় বল পেয়ে আলতো টোকায় বাকি কাজটুকু অনায়াসে সারেন রাসমাস হজল্যান্ড।
ম্যাচের ৩০তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় ‘রেড ডেভিল’রা। মাঝমাঠ থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজ কোনাকুনি পাস দিয়েছিলেন, সেটা পায়ে রেখে বেশ খানিকটা এগিয়ে শট নেন আলেসান্দ্রো গার্নাচো। প্রথম শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও হাতে রাখতে পারেননি। আলতো টোকায় জাল খুঁজে নেন হজল্যান্ড।
ম্যাচের ৪১তম মিনিটে বড় বিপদের শিকার হয় ইউনাইটেড। এলিয়াসকে বক্সের ঠিক বাইরে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মার্কাস রাশফোর্ড। এই লাল কার্ডেই শনির দশা লাগে টেন হাগের দলের। খেই হারিয়ে ফেলে ইউনাইটেড। আর তাতেই মুহূর্তেই হজম করে দুই গোল।
৪৫তম মিনিটে পিটারের ক্রসে ডিয়োগো গনজালভেজের পা হয়ে বল পান বক্সের মাঝামাঝি থাকা মোহামেদ এলিয়োনোসি। নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিচু স্পট কিকে সমতা ফেরান গনজালভেজ নিজে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় আসল খেলা। শুরু থেকেই ইউনাইটেডকে চাপ দিতে থাকে কোপেনহেগেন। কিন্তু আন্দ্রে ওনানার দৃঢ়তায় রক্ষা পায় ইউনাইটেড। অবশেষে ৬৯তম মিনিটে ফার্নান্দেজের সফল স্পট কিকে ফের এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। চার মিনিট পর দুর্দান্ত সাইড ভলিতে জয়সূচক গোলটি করেন বক্সে ফাঁকায় থাকা রুনি বার্দগি।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো কোপেনহেগেন। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে গালাতাসারাই। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে ইউনাইটেড। এই গ্রুপ থেকে সবার আগে নকআউট পর্বে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।