সারা বাংলা

স্বাধীন হয়েছে দেশ, উন্নয়ন হয়নি খলচান্দায়

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী শেরপুর গারো পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত কোচপল্লীর খলচান্দা গ্রামে। এই গ্রামটিতে প্রায় তিন শতাধিক কোচ জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় গুচ্ছগ্রামের বাঙালিসহ প্রায় ৪০০ মানুষ বসবাস করেন। অথচ, গ্রামটিতে নেই সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা। এমনকি, যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির প্রায় ৩ কিলোমিটার এখনো পাকা না হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।

বৃষ্টির মৌসুমে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদামাটি আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলামাটিতে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় সবাইকে। এছাড়া, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট স্থাপনের প্রাথমিক জায়গা হিসেবে এই খলচান্দাকেই বেঁছে নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্প্রদায়কে পেছনে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার ভোটের সময় রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলেও পরে কেউ খোঁজ রাখেন না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়া, এই এলাকাটির মানুষের জীবন জীবিকা কৃষি নির্ভর হওয়ায় রাস্তা ভালো না থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও পণ্য হাট-বাজারে নিতে বিড়ম্বনায় পড়েন। যানবাহনের অভাবে কাঁধে করে সবজি বাজারে নিতে হয় বিক্রির জন্য।

কোচ জনগোষ্ঠীর এক বাসিন্দা বলেন, স্বাধীনতার ৫২  বছর হলেও আমাদের গ্রামের কোনো উন্নয়ন হয়নি। কেউ না ভাবায় আমরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পেছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে সময় ভোট চাইতে আসলেও ভোট শেষে তাদের আর কোনো খবর থাকে না। সড়কে যাতায়াতে আমাদের চরম কষ্ট ভোগ করতে হয়।

নালিতাবাড়ি উপজেলার পোঁড়াগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই অবহেলিত ওই গ্রামের রাস্তার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগে লেখালেখি ও তদবির করে আসছি। কিন্তু তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এতো বড় রাস্তার উন্নয়নের জন্য কাজ করা সম্ভব নয়।

এবিষয়ে নালিতাবাড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. রকিবুল আলম রাকিব বলেন, ওই সড়কের আইডি নম্বর করা হয়েছে কী না তা আমার জানা নেই। আইডি নম্বর থাকলে সে অনুযায়ী প্রস্তবনা পাঠানো হবে।