বিশ্বকাপের বিমান ধরার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিরাজ করছিল অস্বস্তিকর পরিবেশ। তামিম ইকবালের থাকা না থাকার আলোচনার মধ্যে তাকে না রেখেই দল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে তামিম লাইভে আসেন। আর বিশ্বকাপে উড়াল দেওয়ার আগে বিস্ফোরক সাক্ষাতকার দিয়ে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেন খোদ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা এই দুই ক্রিকেটার চুক্তিনুযায়ী এভাবে গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলতে পারেন না। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিসিবি সংবাদসামাধ্যমকেও দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু জানান, সাকিব-তামিম দোষী হলে গণমাধ্যমও দোষী!
তানবীর আহমেদ বলেন, ‘তাদেরকে যদি দোষারোপের আওতাও নিয়ে আসা হয়, তাহলে আমাদের সংবাদমাধ্যমও আসে। আমি আপনাদেরকেও সেই জিনিসটা বলব, অনেকেই হয়তো অসন্তুষ্ট হবেন।’
ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ উড়াল দেওয়ার পর তামিম লাইভে এসে তার সঙ্গে হওয়া নানা ঘটনার বর্ণনা দেন। পরদিন একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দুই পর্বের সাক্ষাতকারে সাকিব সরাসরি দোষারোপ করেন তামিমকে। এ ছাড়াও সরসারি নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। যা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলে বলেও জানা যায়।
সাকিবের এই সাক্ষাতকারের বিষয়টি নিয়ে বিসিবি ভাববে টিম ম্যানেজম্যান্টের রিপোর্টের পর। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবেও বলে জানিয়েছেন তানভীর আহমেদ।
টিম ম্যানেজম্যান্ট এখনো বিশ্বকাপের রিপোর্ট জমা দেয়নি। এটি হাতে পাওয়ার পরই করণীয় ঠিক করবে বিসিবি। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের নরমাল প্রসিডিউর যেটা টিম যখন আসে, তখন টিম ম্যানেজমেন্ট রিপোর্ট দেয়—সেই রিপোর্টের উপর বেজড করে বাকি ডিসিশনগুলো নেওয়ার কথা। সেই কার্যক্রম চলছে। সেই রিপোর্টগুলো দেখে যেই যেই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করে।’