চলমান বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। শেষ চারের লড়াইয়ে দুই দলই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। এমন ম্যাচের আগেই বোমা ফাটিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন। স্বাগতিক ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পিচ পরিবর্তনের গুরুতর অভিযোগ তুলে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচটি। এমন হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের আগেই উইকেট পরিবর্তন করার কথা জানিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন খ্যাতিমান ক্রীড়া সাংবাদিক, লেখক ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথ।
বুথের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মেইলের দাবি, আইসিসির অনুমতি না নিয়েই উইকেট পরিবর্তন করেছে বিসিসিআই। সেমিফাইনাল ম্যাচটি নাকি এমনই এক উইকেটে খেলা হবে, যেখানে পূর্বেও দুটি ম্যাচ হয়েছে এবং স্পিনাররা বেশ সুবিধা পান। আর এ কারণেই ভিন্ন এই উইকেটে দলকে খেলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বিসিসিআই।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, সেমিফাইনালের জন্য ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৭ নম্বর উইকেট ঠিক করা ছিল। সেটা বাদ দিয়ে এখন ৬ নম্বর উইকেটে খেলবে ভারত-নিউ জিল্যান্ড। এই ৬ নম্বর উইকেটে গ্রুপ পর্বে এর আগে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দুটি হয়েছে। বিপরীতে ৭ নম্বর উইকেটে এখনো কোনো খেলা হয়নি।
এমনকি ভারত যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে ফাইনালের পিচও নাকি পাল্টে ফেলবে বিসিসিআই। যেখানে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ৫ নম্বর উইকেটের পরিবর্তে খেলা হবে ৬ নম্বর উইকেটে। সেটাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মেইল। এসব নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিসিসিআইকে মেইল করলেও কোনো ভালো উত্তর পাননি পিচ তদারকের দায়িত্ব থাকা আইসিসির কনসালট্যান্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন।
উল্লেখ্য, আইসিসির এবারের বিশ্বকাপে উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে অ্যাটকিনসনের তত্ত্বাবধানে। কোন ম্যাচ কোন উইকেটে খেলা হবে সেটা আগে থেকেই বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে রেখেছিলেন অ্যাটকিনসন। ভিন্ন উইকেটে সেমিফাইনাল পরিচালনা নিয়ে অ্যাটকিনসনকেও কিছু জানানো হয়নি। এটা নিয়েই বেশ ক্ষেপে যান তিনি।
এদিকে ফাইনালের উইকেট নিয়ে অ্যাটকিনসন গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে তলব করলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিসিসিআইয়ের কথামতোই সব করছে এবং এসব অনুরোধ এসেছে সরাসরি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। সব জেনেশুনে অ্যাটকিনসন এ নিয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে একটি মেইল পাঠান।
অ্যাটকিনসনের পাঠানো মেইলের কিছু অংশ প্রকাশ করেছে মেইল অনলাইন। সেখানে অ্যাটকিনসন সতর্কতার সুরে বলেছেন, ‘এসব কাজের কারণে অবশ্যই এটা ভাবার সুযোগ আছে যে এটাই কি প্রথম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে পিচ বিশেষভাবে পছন্দ ও প্রস্তুত করা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আয়োজক দেশের বোর্ডের উচ্চস্তরের অনুরোধে।’
‘কিংবা ব্যাপারটা কি এমন হবে যে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের কারও প্রতি সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন থেকে কোনো প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে (উইকেট) বাছাই ও প্রস্তুত করা হবে, কারণ উপলক্ষ্যের (ম্যাচ) জন্য এটাই আদর্শ পিচ?’- মেইলে অ্যাটকিনসন আরও যোগ করেন।