এই ম্যাচে ব্রাজিলই ছিল পরিষ্কার ফেভারিট। সেটা প্রমাণ করে ম্যাচের শুরুতে এগিয়েও গেল তারা। কিন্তু মাঝপথে আক্রমণের ঝড় তুলে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চমকে দেয় কলম্বিয়া। জিতে নেয় ম্যাচও। লুইস দিয়াজের চার মিনিটের ঝড়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয় কলম্বিয়ানরা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে কলম্বিয়া। ওইদিকে বাছাইয়ে প্রথম দুই ম্যাচ জেতা ব্রাজিল পরের তিন ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি রইলো।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের চেনা ছন্দে খেলতে থাকে ব্রাজিল। প্রথম মিনিটেই কলম্বিয়ার রক্ষণে হানা দেয় তারা। পরের মিনিটে আবার। সাফল্য আসে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে। ভিনিসিউস জুনিয়রের পাসে হোঁচট খেয়েও বল জালে রাখতে ভুল করলেন না আর্সেনাল ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
গোল খাওয়ার ধাক্কা সামলে কলম্বিয়াও পাল্টা আক্রমণে মনোযোগী হয়। তাতে ক্রমেই নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে থাকে তারা। সময়ের সঙ্গে ব্রাজিলের রক্ষণের জন্য ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দিয়াজ। ২২তম মিনিটে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন রাফায়েল বোরে। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে ছয় গজ বক্সে ভেসে আসা ক্রসে প্রয়োজনীয় টোকাটাই দিতে পারেননি কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। এর দু্ই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে ব্রাজিল দ্বিতীয় গোল পেয়েই যাচ্ছিল, তবে রাফিনিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন কামিলো ভারগাস।
ব্রাজিলের উপর দিয়ে ঝড়টা বয়ে যায় ম্যাচের ৭৫ থেকে ৮০ মিনিটের মধ্যে। ৭৫তম মিনিটে কলম্বিয়া শিবিরে স্বস্তি ফেরান দিয়াজ। বাঁ দিক থেকে সতীর্থে ক্রসে ছয় গজ বক্সে লাফিয়ে হেডে স্কোরলাইন ১-১ করেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড। চার মিনিট পর আবারও দিয়াজের হেড এবং গোল।
বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর গোল দিতে পারেনি ব্রাজিল। তাতে খোয়াতে হয় তিন পয়েন্ট। এ নিয়ে পাঁচ রাউন্ড শেষে ২ জয়, ১ ড্র আর ২ হারে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে ব্রাজিল। ২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে কলম্বিয়া। ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উরুগুয়ে।