ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও রামগতি-কমলনগর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জেলার রামগতি কমলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলায় ফসলি ও সবজি মাঠের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে আমন ক্ষেত।
এছাড়া, ঝড়ের কারণে এসব এলাকায় অসংখ্য কাঁচাঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে সংযোগ। জেলার কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ৩টি জেলে নৌকা ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, এসব নৌকার জেলেরা সাঁতরে তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ঘাট। কমলনগর ও রামগতি উপজেলার সংযোগখালের বাঁধ ধসে পড়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে জেলার ৫টি উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির এমন খবর জানা গেছে। স্থানীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষয়ক্ষতির খবর নিশ্চিত করেছেন। ঝড়ো বাতাসে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন, জেলায় ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব নিরূপণ করা হচ্ছে। সব উপজেলায় এ ব্যাপারে আমাদের কাজ চলছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত খাবার দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার কাজও চলছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আমন ক্ষেতে পানি উঠে এসেছে। ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। শীতকালীন সবজি ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে প্রণোদনা এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসাব এখনো নির্ণয় করা হয়নি।’