বিএনপি না থাকলেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা উত্তাপ ছড়াচ্ছেন মাদারীপুরের নির্বাচনী মাঠে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ অর্ধ ডজন নেতারা মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কাজ করছেন।
মাদারীপুর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিন একাই মাদারীপুরের দুইটি আসনের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী লিটন একক প্রার্থী হওয়ায় এই আসন নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। তবে, মাদারীপুর-২ আসনে (মাদারীপুর সদর ও রাজৈর ) মনোনয়ন কিনেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। সাতবার এই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি এর আগে মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়াও, মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পদক গোলাম রাব্বানী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী।
মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৫ জন। এই আসনে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য ড.আব্দুস সোবাহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনর ছোট ভাই ডাক্তার সৈয়দ আবুল হাসান। তাছাড়া বর্তমান কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মীর গোলাম ফারুকও মনোনয়ন কিনেছেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে নির্বাচনে তার স্থলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বর্তমান সংসদ সদস্য ড.আব্দুস সোবাহান গোলাপকে।