চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় চারতলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালককে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, হেলে পড়া ভবনটির পাশে থাকা আরও ৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেগুলোর বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১০০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই ভবনগুলোতে যাতে কেউ বসবাস না করেন সেজন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন, সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিউর রহিম জাদিদ, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, চান্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ওই ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আশপাশের আরো চারটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেগুলোর বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১০০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মূল হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটির খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বর্ণিত ভবনটি অপসারণ করার কথা ছিল এবং ভবনের মালিক অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিলেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালককে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে সিএমপি’র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ’র প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি’র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনে কেউ যেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বসবাস না করেন সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য আশপাশের বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।