‘স্কোরবোর্ডে ২০৫ রানের লিড। কি চিন্তা করছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল হককে প্রথম প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে মুমিনুল যা বলেছেন তাতে দাঁড়ায়, লিড কিংবা নিজেদের রান কোথায় গিয়ে পৌঁছায় তা চিন্তার বিষয় নয়।
টেস্টের আরও দুদিন আছে। যতটা সম্ভব ব্যাটিং করা। তারপর ফলের জন্য অপেক্ষা করা। দলের প্রতিনিধি হয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে মুমিনুল বলেছেন, ‘কেমন চিন্তা করেছি এখন পর্যন্ত চিন্তা করিনি। তবে পজিশন ভালো আছে এখন পর্যন্ত। এটাই।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৩১০ রানের জবাবে নিউ জিল্যান্ড ৩১৭ রান করেছে। ৭ রানের লিড পায় অতিথিরা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ২১২ রান তুলেছে। ২০৫ রানের লিড। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ এগিয়ে।
হাতে ৭ উইকেট রেখে স্কোরবোর্ডে আরও রান তুলতে চায় স্বাগতিক শিবির। তবে কত রান নিরাপদ হতে পারে সেই ধারণা নেই। কেননা উইকেট রহস্যময়। গতকালের চেয়ে আজ তুলনামূলক কম টার্ন হয়েছে। উইকেট ভাঙলেও স্পিনাররা তেমন সুবিধা পাচ্ছেন না। সমান বাউন্সে বল ব্যাটে আসছে। বল একুট ধীর গতির। স্পিন হলেই যে ছোবল দিচ্ছে তেমন নয়। অল্পস্বল্প টার্ন হচ্ছে।
এমন উইকেটে ছন্দ ধরে রাখা কঠিন। তা খুব ভালো করেই জানেন মুমিনুল। তাইতো সংবাদ সম্মেলন নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে তেমন কিছু বললেন না সাবেক টেস্ট অধিনায়ক, ‘এটা (টার্গেট) বলাটা খুব কঠিন। আমার কাছে এখনও মনে হচ্ছে উইকেট ভালো। কত রান নিরাপদ এটা বলা অনেক কঠিন। ৪০০-ও হতে পারে, ৩৫০ও হতে পারে। কালকের উপর নির্ভর করে। কাল চতুর্থ দিন, অন্যরকম আচরণ করতে পারে। চার’শ হলে ঠিক আছে…।’
তবে তার বিশ্বাস এই ম্যাচে ফল হবে। তার ভাষ্য, ‘ম্যাচে ফল হবে। এজন্য স্বাভাবিক ক্রিকেট খেললেই ভালো। যত পারা যায় ওদের দিক থেক গেম নিয়ে আসতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটটাই এমন। ধৈর্য ধরে বোলিং করতে হবে। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে হবে।’
মুমিনুল আজ ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। গতকাল পেয়েছেন গ্লেন ফিলিপসের উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার ৪ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। নিজের বোলিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘হয়ে গেছে (ম্যান উইথ গোল্ডেন আর্ম)। এরকম কিছু না। (বোলিং) ওরকম ভাবনা ছিল না। অধিনায়ক চেয়েছে ভিন্ন কিছু করতে, যেটা আমার সময় আমি করতাম। করেছে। ও নিজে থেকে করেছে (বোলিংয়ে আনা)।’
বোলিংয়ের পর মুমিনুল ব্যাটিংয়েও দ্যূতি ছড়িয়েছেন। কিন্তু ৪০ রানে তার ইনিংসটি কাটা পড়ে রান আউটে। নিজের আউট নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তার, ‘(আউট) না ভোগাচ্ছে না। ক্রিকেটে এটা হতেই থাকে, হবে, স্বাভাবিক। যতটুকু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আপনারাও জানেন, আমি এসব নিয়ে মন খারাপ করি না। দলের জন্য যতটুকু অবদান রাখা যায়, এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’