রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে এবার নির্বাচন করছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই মাহিয়া মাহি বলছেন, তিনি নির্বাচনে এলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। ভোটের ফল ভালো হবে বলেও তার আশা।
ভোটের মাঠে নতুন হলেও সংসদে যেতে নায়িকার যখন এই আত্মবিশাবাস, তখন তার সঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই আসনের আরও ১০ প্রার্থী। মাহিয়া মাহিকে শক্ত প্রার্থী বলে মানছেন এ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। এবারও দলের মনোনয়ন পেয়ে ভোটের মাঠে আগেভাগেই নেমেছেন এই নেতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকরা মাহিয়া মাহির নির্বাচনে আসার ব্যাপারে জানতে চান ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বাংলা সিনেমা দেখি না। কোনো সিনেমাই দেখা হয় না। তাঁকে আমি চিনিও না। তাই তাঁর বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে, ভোটের মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি ছোট না। কাউকেই আমি ছোট করে দেখছি না।’
এলাকার এমপি চেনেন না, এমন কথার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ। কমবেশি বাংলাদেশের ফিফটি পার্সেন্ট মানুষ আমাকে চেনে। আমার এলাকার এমপিই যদি আমাকে না চেনেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি সংস্কৃতিমনা মানুষ নন।’
রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই আসনে মোট ১১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এমপি ফারুক ও নায়িকা মাহি ছাড়াও ভোটের মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, গোলাম রাব্বানী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান, বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু, বিএনএফের মো. আল-সাআদ, তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদু, এনপিপির নুরুন্নেসা, মুক্তিজোটের বশির আহমেদ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুদ্দীন।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া নামে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ফরম তুলেছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি একটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। রাজশাহী-১ আসনে তাঁর নানার বাড়ি। আর নিজের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে।