অর্থনীতি

কক্সবাজারের ঐতিহ্য হোটেল ‘সিগাল’

কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। বিশাল সমুদ্র। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুন, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। সাথে প্রিয়জন থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝুট-ঝামেলামুক্ত। এজন্যই কক্সবাজারে আছে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল সিগাল। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, জেলাটি সবসময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে। বিপুল পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা।

অনেক সময় ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু হোটেল ‘সিগাল’ এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম এক ও ঐতিহ্যবাহী দীর্ঘদিন যাবত একই রকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল এটি। কক্সবাজারে অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই হোটেলে নিরাপত্তা, সার্ভিস সুবিধা, কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করতে তাদের আছে নানা ব্যবস্থা। এমনকি, তাদের রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেট বিচ। সেখানে থাকতে দুই রাত, দুই দিনের একোমোডেশান, ব্রেকফাস্টসহ নানা সময়ে তাদের থাকে অসাধারণ প্যাকেজ।

সিগালের সিইও ইমরুল ইসলাম সিদ্দিকী

এ প্রসঙ্গে হোটেল সিগালের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) ইমরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, সিগাল শুধু কক্সবাজারে না বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ৫ তারকা হোটেল। আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে কোন আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সকল সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ব্রেকফাস্ট (বুফে), এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইন রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি, চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, জাকুজি, বাগান, রাতে পুল সাইড লাইভ মিউজিক ও বারবিকিউ, মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস এবং অন্যান্য সুবিধা, প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, পার্কিং সুবিধা, রেস্টুরেন্ট সার্ভিস এবং রুম সার্ভিসসহ অন্যান্য সুবিধা। যা আপনি এবং আপনার ভ্রমণকে আবাসনের ক্ষেত্রে করবে নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও আরও মনোমুগ্ধকর। উল্লেখ্য, হোটেল সিগাল থেকে বীচের দূরত্ব মাত্র ১ মিনিটের হাঁটাপথ।