প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুষার ইমরানের সঙ্গে ৩২ সেঞ্চুরি নিয়ে পাশাপাশি অবস্থান করছিলেন নাঈম ইসলাম। বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে আরেকটি অসাধারণ সেঞ্চুরিতে নাঈম ছাড়িয়ে গেলেন তুষার ইমরানকে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করলেন ৩৩তম সেঞ্চুরি।
মঙ্গলবার বিসিএলের প্রথম দিনে নাঈম তুলে নেন বহুল প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি। গত মাসে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়ার পথে তুষার ইমরানের রেকর্ড স্পর্শ করেন। বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে মধ্যাঞ্চলের জার্সিতে নাঈম উঠে বসলেন সেঞ্চুরির শৃঙ্গে।
২০২১ সালে অবসরে যাওয়া তুষার ৩২ শতক করেন ১৮২ ম্যাচে। তাকে নাঈম ছাড়িয়ে গেলেন ১৭০তম ম্যাচে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই দুজন ছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশ হাজার রান নেই আর কারও। নাঈম আজ অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার রান ১০ হাজার ৪৮৬। রানের তালিকায় শীর্ষে থাকা তুষারের রান ১১ হাজার ৯৭২।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে এই অর্জন বিরাট। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া বিভাগ কিংবা বিসিবির অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কোনো পোস্ট করা হয়নি। নাঈমের সেঞ্চুরিতে ভর করে বিসিবি মধ্যাঞ্চল সিলেটে নর্থ জোনের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান করে। নাঈম ১৭৫ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। দলের হয়ে নাঈম বাদে তেমন কেউ ভালো করতে পারেননি। তাইবুর রহমান ৪০ রানে আউট হন। ৪৭ রান আসে লেট অর্ডার ব্যাটসম্যান শহীদুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক সাইফ হাসান করেন ৩২ রান। শুরুতে দুই ওপেনার নাঈম (৫) ও রনি তালুদকার (৪) দ্রুত আউট হন।
বল হাতে নর্থ জোনের হয়ে মুশফিক হাসান ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট পেয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। নয়তো নাঈমের ইনিংসটি আরও বড় হতো।
এদিকে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হয়েছিল বিসিবি ইষ্ট জোন ও বিসিবি সাউথ জোন। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইষ্ট জোন ৫ উইকেটে ২৪২ রান করে। পারভেজ হোসেন ইমন ৯০ রান করেন। আরেক ওপেনার সৈকত আলীর ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। এছাড়া অমিত হাসান করেন ৩৫ রান। শামসুর রহমান ১৯ ও ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
বল হাতে তানবীর ইসলাম পেয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম ও মঈন খান।