রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর পর আরলিং হালান্ড পার পেয়ে গেলেও আটকে যেতে পারে তার ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। মাঠে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারির প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় ম্যাচে খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক বিবৃতি দিয়ে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার বিষয়টি জানায় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। এখনই অবশ্য কোনো শাস্তির কথা বলা হয়নি। সামনেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এফএ-এর সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে যে, হালান্ডের পোস্টটি তাদের সংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেনি বলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। এছাড়া অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় পেয়েছে ম্যানসিটি।
উল্লেখ্য, রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে টটেনহ্যামের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠার সময় টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার এমারসনের সঙ্গে কুলোতে না পেরে পড়ে যান হালান্ড। তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে নিয়ে ছুটে গিয়ে বল বাড়ান সামনে থাকা জ্যাক গ্রিলিশের দিকে।
বল ধরে গ্রিলিশ যখন প্রতিপক্ষের গোলমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে টটেনহ্যামের তিন খেলোয়াড়। ইংলিশ মিডফিল্ডারের সামনে গোলের ভালো সুযোগ। কিন্তু রেফারির বাঁশিতে থেমে যেতে হয় গ্রিলিশকে। হালান্ডকে ফাউলের ঘটনায় ফ্রি-কিকের বাঁশি বাঁজান হুপার।
নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হওয়ায় রেফারির ওই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সিটির খেলোয়াড়রা। কেননা ম্যাচ তখন ৩-৩ গোলে সমতায়। এক গোল হলেই তিন পয়েন্ট পেয়ে যেত সিটি। এই ঘটনায় হলুদ কার্ড দেখেন হালান্ড। এ নিয়ে ম্যাচের পরও ক্ষোভ আড়াল করেননি নরওয়ের তারকা।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ফাউলের ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন গালি হিসেবে ব্যবহার করা তিন অক্ষরের একটি শব্দ।