‘জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করা এবং দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছেন। তার এই নির্বাচন বর্জন করাকে ভবিষ্যতে জাতি মূল্যায়ন করবে।’
৬ ডিসেম্বর সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।
আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের দুঃসময়ে ১৯৮২ সালে দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু, আজও বাংলাদেশে গণতন্ত্র রুগ্ন অবস্থায় আছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, আবদুল আজিজ চৌধুরী, মজিবুর রহমান মুজিব, মোহাম্মদ ইসফিল মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন, মনোয়ারা তাহের মানু, শারমিন পারভিন লিজা, তাহেরা মোশাররফ শোভা, জিয়াউল হক জুয়েল, ডা. নাসির উদ্দিন মোল্লা, আসমা আজিজ, আজমল হোসেন জিতু, আক্তার হোসেন, কেয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, তৌহিদুর রহমান, এস এম গোলাম বায়োজিদ, মাহবুবুর রহমান তারা, নার্গিস আক্তার, আসমা আক্তার, নাসির উদ্দীন মুন্সী, এজাজ আহমেদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় বিরোধী দলের অন্যতম দাবি ছিল— বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এবং রেডিও-টিভির স্বায়ত্তশাসন দেওয়া। ক্ষমতা হস্তান্তর করার আগে বিশেষ আইন বিলুপ্ত ও রেডিও-টিভির স্বায়ত্তশাসন করার জন্য এসআরও জারি করেছিলেন। কিন্তু, আজ অবধি বিএনপি বা আওয়ামী লীগ সরকার তাদের উত্থাপিত দাবি বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল ও টিভির স্বায়ত্তশাসন দেয়নি।