জাতীয়

‘উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার’ 

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। বরং সরকার বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ ও নির্দেশনার কাজ করছে।

তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে  দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

শিল্প সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা গড়তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করে যাবে শিল্প মন্ত্রণালয়।  সার ও চিনি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সার উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)’র চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান, এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, এফবিসিসিআই’র পরিচালক, শিল্প মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন, নিলুফার নাজনীন, এস এম আলম, জাকিয়া খানম, মু. আনোয়ারুল আলম, মো. শামীমুল হক এবং যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় উপযুক্ত শিল্পনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, এসএমই, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, পণ্যের মান এবং মেধা সম্পত্তির অধিকার রক্ষা, শিল্প খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, প্রতিযোগীতা সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার নীতিমালা ২০২২, প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৩, জাতীয় লবণনীতি ২০২২, অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১, জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ শিল্প কারগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, এনপিও, চামড়া শিল্প, রুগ্নশিল্প, এবং বিএসটিআই’তে সমস্যা, সম্ভাবনা ও নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা এসব প্রস্তাবনা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিল্প খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

এ সময় সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।