খেলাধুলা

দেড়’শ রানের লক্ষ্যও দিতে পারেনি বাংলাদেশ

চতুর্থ দিনের খেলা তখন শুরু হওয়ার পথে। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতেই দেখা মেলে একাডেমি মাঠে শরিফুল ইসলামের ব্যাটিং অনুশীলন। শের-ই-বাংলার স্পিন স্বর্গে টেল এন্ডারদের ব্যাটিং হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ, এমন ভাবনা থেকে শরিফুল নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন।

কিন্তু অভিজ্ঞ ব্যাটার হতে শুরু করে টেল এন্ডার পর্যন্ত, কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। ফলস্বরূপ শনিবার চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪৪ রানে! নিউ জিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৭ রান!

লড়াইটা ছিল যেন একা জাকির হাসানের। ১৬ রানে দিন শুরু করে এই বাঁহাতি ব্যাটার এক প্রান্তে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। আরেক প্রান্তে চলছিল উইকেটের মিছিল। ৭৯ বলে ফিফটি তুলে জাকির আউট হন ৫৯ রানে, নবম ব্যাটার হিসেবে। আর কোনো ব্যাটারই ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।

বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শুরু করে ২ উইকেটে ৩৮ রানে। শুরুটা আগ্রাসী হলেও সেটি আর ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিক দল। অ্যাজাজ প্যাটেল-মিচেল স্যান্টনারদের ঘূর্ণিতে চলছিল একের পর এক উইকেটের মিছিল। এক প্রান্তে জাকির আগলে রাখলেও আরেক প্রান্তে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় কোনো কাজ হয়নি।

চতুর্থ দিন বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে পারে ২৭ ওভার ও ১১৫ মিনিট।  এক তাইজুল ইসলাম ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দশের বেশি রান করতে পারেননি। তাইজুল ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। একমাত্র ব্যাটার হিসেবে শূন্যরানে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান।

কিউইদের মধ্যে অ্যাজাজ একাই নেন ৬ উইকেট। ১৮ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে তিনি এই উইকেটগুলো নেন। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়। জবাবে নিউ জিল্যান্ড করে ১৮০ রান। ৮ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে বাংলাদেশ থামে ১৪৪ রানে। আগের দিন নাঈম হাসান আর আজ মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছিলেন, দুই’শ-এর উপরে লক্ষ্য দিতে পারলে ম্যাচটা কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশ দেড়’শ রানের লক্ষ্যও দিতে পারেনি।