সারা বাংলা

অস্থির বগুড়ার পেঁয়াজের বাজার

ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা হতে না হতেই বগুড়ায় অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। ফলে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সঙ্গে অন্যায় করছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়তে পারে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত উঠলেই দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ‌্যায় শহ‌রের পাইকারি রাজাবাজার এবং খুচরা ফতেহ আলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একরাতের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে ৩০ টাকা এবং খুচরায় ৪০ টাকা বেড়েছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। পুরাতন পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।  ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। যা আগের দিন ছিলো ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

তারাজুল বাবু শহরের খান্দার এলাকার বাসিন্দা।  বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি জানান, ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসছে। ভেবেছিলাম পেঁয়াজের দাম কমবে। যে কারণে কয়েকদিন আগে আড়াই কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আগে জানলে ওই সময় ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনে রাখতাম। এখন তো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। 

ফিরোজ আলম নামের আরেক ক্রেতা জানালেন, একটু সুযোগ পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। ক্রেতাদের সঙ্গে অন্যায় করছে তারা। আমাদের তো আর লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে নেই যে সেখান থেকে উঠিয়ে খরচ করবো। বেতনের টাকা দিয়ে এমনিতেই মাস যেতে চায় না।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সকালে চাহিদা মতো পেয়াজ পাইনি। আমাদের কিনতেই হচ্ছে বেশি দামে। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ এখন ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, বগুড়ায় প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৫০ টন। ইন্ডিয়া পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকার কারণে কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। ওই সময় দাম কমে আসবে।