বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার দায়ে আশরাফুল ওমর উজ্জ্বল নামে এক আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় দেন।
উজ্জ্বল রাজধানী ডেমরার কোনাপাড়ার মমিনবাগ চৌরাস্তার হাফিজ আহম্মেদের ছেলে। তিনি নিজেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের খেলোয়াড় এবং আন্ডার নাইন্টিনের সাবেক অধিনায়ক পরিচয় দিতেন।
আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সিরাজুল ইসলাম রায়ের বিষয় নিশ্চিত করেন।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মেহেদী ইমাম নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে ভাটারা থানায় এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি উজ্জ্বলসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জাপান মটরস লি. শোরুমে গাড়ি কিনতে আসেন। আসামি তখন নিজেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন খেলোয়াড় ও সাবেক আন্ডার নাইন্টিন (U-19) এর অধিনায়ক হিসেবে পরিচয় দেয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন অপির ছোট ভাই, সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের ছোট ভাই ও মুশফিকুর রহিমের বন্ধু এবং বর্তমান ক্রিকেটার অনেকের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে- এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে। পরবর্তীতে তার ফেসবুক প্রোফাইলে ৩৪ জনসহ ক্রিকেটার ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তার ছবি দেখিয়ে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের তার জাপান মটর লি. নিয়ে আসবে এবং তাদের ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দিলে শোরুমে গাড়ি বিক্রয় ভাল হবে বলে তাকে বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখায়। আসামির সাথে বাদী সুপরিচিত হওয়ায় বাদীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার চায় এবং গাড়ি কেনার সমস্ত টাকা পরিশোধ করবে বলে জানায়। আসামির কথা বিশ্বাস করে দু-দফায় ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা ধার নেয়।
মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ২০২১ সালের ৬ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।