খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। রোববারও (১০ ডিসেম্বর) এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে আজ রোববার ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম আসার কথা রয়েছে।
খানজাহান আলী থানার তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি সম্পদ নষ্ট, অধীনস্থ কর্মচারিদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা, প্রশিক্ষণার্থীদের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের গাছ ও প্রশিক্ষণের কাঁচামাল আত্মসাৎ করেছেন।
এসব অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ থেকে অপসারণ, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে শনিবার ও রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের সামনে দাবি সম্মিলিত ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দ কামাল আহমেদ, মাসুদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মারুফ আহন্মেদ, হযরত আলী প্রমুখ।
সভায় ভক্তরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূনীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি সম্পদ নষ্ট, প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে বিক্রি, অধীনস্থ কর্মচারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লঞ্চিত করা, প্রশিক্ষণার্থীদের গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, প্রশিক্ষণের কাঁচামাল আত্মসাৎ, দীর্ঘদিন প্রশিক্ষকদের সম্মানী প্রদান না করা, অধীনস্থদের বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি-ধামকি প্রদান, নারী কেলেঙ্কারীসহ গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার্থে শনিবার সন্ধ্যায় অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক খুলে প্রশিক্ষণার্থীদের ড্রাইভিং গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান বলে জানা গেছে।