১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে বাংলাদেশ হারিয়েছে সূর্য সন্তানদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের৷ জাতিকে দেউলিয়া ও মেধা শূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। দেশকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক শূন্য করতে চেয়েছে তারা।
১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র পক্ষ থেকে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রকৌশলী নেতারা এসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ১৪ ডিসেম্বরে হারানো সূর্য সন্তানদের ক্ষতিপূরণ হয় নাই৷ হবেও না। জাতি এখনো সেই শোক ভুলতে পারেনি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্র করে সেই গতি থামানো যাবে না।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা ঘটিয়েছিল তারা এখনো দেশে নানান ষড়যন্ত্র করছে। এখনো তারা চায় দেশ দেউলিয়া ও মেধাশূন্য হয়ে যাক। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়৷ তাদের এই ষড়যন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে শেখ হাসিনা সফল হবেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শীবলু বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশে তাদের দোসরেরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করতেই ১৪ ডিসেম্বর ঘটিয়েছে। নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের সূর্য সন্তানদের। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো হয়নি। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে আগামীতে যেনো এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দাবি জানাই।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, আইইবি ঢাকা সেন্টারের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলামসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ ও সেন্টারের প্রকৌশলী নেতারা৷
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ এবং মোমবাতি প্রজ্বলনসসহ নানান কর্মসূচি পালন করে।