খেলাধুলা

শেষ সেশনে ম্যাচ বাঁচালেন মঈন-সুমন

একজন খেললেন ৭৬ বল। আরেকজন ৭৯। দুজন মিলে শেষ সেশনে খেললেন ২৫ ওভার। বিসিবি নর্থ জোনের জয়ের জন্য শেষ সেশনে ৩ উইকেট পেলেই হতো। কিন্তু ১ উইকেটের বেশি পেল না। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে দলের নিশ্চিত পরাজয় রুখে দিলেন বিসিবি সাউথ জোনের লেজের দুই ব্যাটসম্যান মঈন খান ও সুমন খান। তাতে বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করলো দুই দল। 

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে সেঞ্চুরি তুলে নেন বিসিবি নর্থের আব্দুল্লাহ আল মামুন। ১১৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে আকবর আলী ৬২ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭ উইকেটে ৩৪৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে নর্থ জোন। ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে তারা দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল। তাতে সাউথ জোন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২২ রানে টার্গেট পায়। কিন্তু লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নর্থ জোনের বোলিং আক্রমণে ২১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় তারা। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন মাহেদী হাসান ড্রেসিংরুমে ফেরেন তখন দলের রান ৫৭। 

সেখান থেকে মার্শাল আইয়ুবের ৫২ ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ৪২ রানে লড়াই করলেও তারা দুজন দ্রুত ফিরলে ম্যাচ জমে উঠে। নর্থ জোন ম্যাচ জিততে দ্রুত ওভার শেষ করতে থাকে। সঙ্গে অধিনায়ক আকবর ক্লোজ ইন ফিল্ডার সেট করে চাপ বাড়াতে থাকে সাউথ জোনের দুই ব্যাটসম্যান মঈন ও সুমনের ওপর। কিন্তু দিনের শেষ পর্যন্ত তাদের মনোবল নড়াতে পারেননি বোলাররা। একাধিক বোলার পরিবর্তন, পার্ট টাইম বোলার নিয়ে এসেও কাজ হয়নি। প্রথমবারের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হাত ঘুরিয়েছেন আকবর আলীও। তাতেও কাজ হয়নি। দৃঢ়চেতা মানসিকতা দেখিয়ে উইকেট আকড়ে টিকে ছিলেন মঈন ও সুমন। দলের পরাজয় এড়াতে তারা ছিলেন বদ্ধপরিকর।

কোনো আলগা শট না খেলে ওভারের পর ওভার ডট খেলেছেন। ম্যাচ বাঁচাতে ব্যাটসম্যানরা যেখানে দায়িত্বের ঘাটতি দেখিয়েছেন সেখানে লেজের এই দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন দারুণ। শেষ পর্যন্ত দুই দল ড্র মেনে নেয়। ৮ উইকেটে ১৭২ রানে শেষ হয় তাদের লড়াই।

ড্র মেনে নেওয়ায় ২ পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দুই দল। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া স্পিনার নাহিদুল দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।