খেলাধুলা

ভারতকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান আরিফুল হক। সঙ্গী হিসেবে পান আহরার আমিনকে। মাত্র ৬ রানের জন্য আরিফুল সেঞ্চুরি মিস করে সাজঘরে ফিরলেও ততক্ষণে জয়ের ভিত পেয়ে যায় লাল-সবুজের দল। 

সেই ভিতে দাঁড়িয়ে মাহফুজুর রহমান-শেখ পারভেজ জীবন দলকে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলে তবে মাঠ ছাড়েন। 

লক্ষ্য মাত্র ১৮৯। তবে প্রতিপক্ষ যখন ভারত, তখন এই রানও বেশি হয়ে দাঁড়ায়। তবে অপ্রতিরোধ্য আরিফুল আর দুর্দান্ত আহরারে জুটিতে জয়ে বেগ পেতে হয়নি।

আইসিসি একাডেমিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সেমিফাইনালে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মারুফ মৃধার বোলিং তোপে ৪১.৪ ওভারে ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত। তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৩ বল হাতে রেখে ফাইনালের টিকিট কাটে বাংলাদেশ।

তাড়া করতে নেমে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলে না উঠতেই আরিফুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে সাজঘরে ফেরেন আশিকুর রহমান শিবলি। ৩৪ রান না হতেই নাই হয়ে যায় ৩ উইকেট। এর পরের গল্পটা এঁকেছেন আরিফুল-আহরার। দুজনে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেন।

দুজনে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। আরিফুল সেঞ্চুরি মিস করেছেন ৬ রানের জন্য। একইভাবে ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন আহরার। আরিফুল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯০ বলে ৯৪ রান করেন। আর আহরার তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ১০১ বলে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস।

দুজনে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ হারায় শিহাব জেমসের উইকেটও। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নামান তিওয়ারি। ২ উইকেট নেন রাজ লিম্বানি।

এর আগে মারুফের বোলিং তোপে শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত। প্রিয়াংশু মোলিয়া ও অধিনায়ক সচিন দাস সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মলিয়া ১৯ ও সচিন ফেরেন ১৬ রানে। 

এক পর্যায়ে ৬১ রান তুলতে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর ত্রাতা হয়ে আসেন মুশির খান-মুরুগান অভিষেক। দুজনে ৮৪ রানে জুটি গড়ে দলের স্কোর দুই’শ-র কাছে নিয়ে যান। 

৭৪ বলে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মুরুগান। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে মুরুগানের ইনিংসটি সাজানো ছিল। আর ৬১ বলে ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক। তার আউটের পরই ভারত অলআউট হয়ে যায় ১৬ রানের ব্যবধানে। 

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন মারুফ। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন শেখ রোহানাত দৌলা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৯ সালে ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল।

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত। পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা ফাইনাল নিশ্চিত করে। ১৭ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ট্রফির লড়াইয়ে নামবে দুই দল।