ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। তৃতীয় স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে আলাদা থাকছেন। স্ত্রীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করার জন্য মামলাও করেন রোশান। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে বিয়েবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে খোরপোশ বাবদ অর্থও দাবি করেন এই অভিনেত্রী।
রোশান সিংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ না হলেও ব্যবসায়ী অভিরূপ চৌধুরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান শ্রাবন্তী। তাদের ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেন শ্রাবন্তীর স্বামী রোশান সিং। এখানেই শেষ নয়, অভিরূপের সঙ্গে একাধিকবার মালদ্বীপ ভ্রমণেও গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন শ্রাবন্তী। এবার জানা গেলো, এক পরিচালকের সঙ্গে নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন শ্রাবন্তী।
টিভি নাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে টলিপাড়ায় গুঞ্জন উড়ছে, ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর সঙ্গে শ্রাবন্তী প্রেম করছেন। যদিও একথা স্বীকার করেননি শুভ্রজিৎ কিংবা শ্রাবন্তী। বরং তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
টলিপাড়ার একটি সূত্র জানিয়েছে, শ্রাবন্তী ও শুভ্রজিৎ খুব শিগগির নিজেদের সম্পর্ককে সামনে নিয়ে আসবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বদলে ফেলবেন ‘রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস’। মানে ‘সিঙ্গেল’ থেকে ‘কমিটেড’ লিখবেন তারা।
শ্রাবন্তীর সেলফিতে শুভ্রজিৎ
বেঙ্গালুরুর একটি চলচ্চিত্র উৎসবে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয় শ্রাবন্তী-শুভ্রজিতের। যতদিন এ চলচ্চিত্র উৎসব চলেছে, ততদিন তারা একে-অপরের সঙ্গে গল্প-গুজব চালিয়েছেন। এ উৎসব থেকে কলকাতায় ফিরে আসার পরই জানা যায়, শ্রাবন্তীকে নিয়ে ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমা নির্মাণ করছেন শুভ্রজিৎ।
২০০৩ সালে পরিচালক রাজীবকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। তাদের ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান অভিমন্যু (ঝিনুক)। পরবর্তীতে রাজীবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এরপর এ অভিনেত্রী বিয়ে করেন প্রেমিক কৃষাণ ভিরাজকে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে শ্রাবন্তী ও কৃষাণের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। ২০১৭ সালের আগস্টের দিকে দ্বিতীয় সংসারেও ভাঙনের সুর বেজে ওঠে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান শ্রাবন্তী।
২০১৯ সালে তৃতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। একই বছরের ১৯ এপ্রিল অনেকটা গোপনে প্রেমিক রোশান সিংয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। ভারতের চণ্ডীগড়ে পাঞ্জাবি রীতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ের এক বছর পরই এ সংসারে ভাঙনের সুর বেজে ওঠে। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।