খেলাধুলা

চ্যাম্পিয়নস লিগকে টেক্কা দিতে ৬৪ ক্লাবের সুপার লিগ

দুই বছর আগে ১২ দল নিয়ে শুরু হতে যাওয়া ইউরোপিয়ান সুপার লিগ উয়েফা ও ফিফার বাধার মুখে পড়ে। ১২ দলের ৯টিই ফিফা ও উয়েফার চাপে সটকে পড়লেও অনড় ছিল রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। শেষ পর্যন্ত তারা ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালতে (ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস, সিজেইইউ) যায়।

দুই বছর পর আদালত রায় দিয়েছেন নতুন লিগ আয়োজনে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের ক্ষেত্রে উয়েফা কিংবা ফিফার বাধা দেওয়া উচিত নয়। বরং নতুন লিগকে স্বাগত জানানো উচিত। এই বাধাদান বেআইনি।

আদালতের রায় পক্ষে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে সুপার লিগের আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। তারা ৬৪ দল নিয়ে পুরুষদের ৩টি লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। তার মধ্যে ষোলো ষোলা মোট ৩২ দল নিয়ে পুরুষদের ‘স্টার’ ও ‘গোল্ড’ লিগ এবং ৩২ দল হবে ‘ব্লু লিগ’। তিনটি বিভাগেই প্রমোশন ও রেলিগেশন থাকবে।

এছাড়া ৩২ দল নিয়ে হবে মেয়েদের লিগ। এই দুটো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও নারী চ্যাম্পিয়নস লিগকে টেক্কা দিবে।

রায় পক্ষে আসার পর রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার সভাপতি মন্তব্য করেছেন। রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস বলেন, ‘আদালতের আজকের সিদ্ধান্তটি ঐতিহাসিক ও বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ। এ রায়ের দুটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। প্রথমত, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল আর একচেটিয়া থাকবে না। এবং দ্বিতীয়ত, সব ক্লাবই এখন থেকে নিজেদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’

বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তে বলেন, ‘বার্সেলোনা মনে করে এই রায়ের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বে একচেটিয়া ক্ষমতা নিরোধ করে ইউরোপে একটি নতুন অভিজাত প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত হয়েছে।’

তবে রায় প্রকাশের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উয়েফার সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা উয়েফার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বদ্ধপরিকর এবং উয়েফাকে ইতিবাচক সহযোগিতা করবো।’

ম্যানইউর মতো বায়ার্নও উয়েফার পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে, সুপার লিগের মতো প্রতিযোগিতা ইউরোপিয়ান ফুটবল কাঠামোকে ভেঙে দিবে।

সুপার লিগ সম্প্রচারের জন্য এ২২ নতুন একটি স্পোর্টস স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম তৈরি করারও পরিকল্পনা করছে। যা ভক্ত-সমর্থকরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেখতে পাবেন।