খেলাধুলা

দাপুটে জয়ে ইতিহাস বাংলাদেশের

স্কোর: বাংলাদেশ ৯৯/১ (১৫.১ ওভার) , নিউ জিল্যান্ড ৯৮/১০ (৩১.৪ ওভার)

ফলাফল: বাংলাদেশ ৯  উইকেটে জয়ী।

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতল বাংলাদেশ। আগের আঠারো বারের দেখায় কোনোটিতেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। একের পর এক বিব্রতকর হার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের রেকর্ডবুকে।  শনিবার নেপিয়ারে দাপুটে জয়ে নতুন করে ইতিহাস লিখল বাংলাদেশ। 

যেমন বোলিং, তেমন ব্যাটিং। প্রভাব বিস্তারকারী পারফরম্যান্স যাকে বলে, তেমন কিছুর দেখা মিলল নেপিয়ারের সবুজ ঘাসে। বোলিংয়ে অপ্রতিরোধ্য, ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক। তাতে জয় চলে আসে সহজে। 

টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দেয় বোলাররা। পেসার তানজিম হাসান তামিম, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার ৩টি করে উইকেট নেন। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শান্তর অপরাজিত ৫১ ও এনামুলের ৩৭ রানে বাংলাদেশ জয় পেয়ে যায় অতি সহজে। তাতে ৯ উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে রঙিণ পোশাকে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

রেকর্ড গড়া জয়

তৃতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। নিউ জিল‍্যান্ডের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে দুইবার ৭ উইকেটে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। সঙ্গে আরেকটি রেকর্ডকেও সঙ্গী করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ২০৯ বল হাতে রেখে। এ নিয়ে তৃতীয়বার দুইশর বেশি বল অব্যবহৃত রেখে জিতল বাংলাদেশ। 

ম্যাচ সেরা তানজিম

৭-২-১৪-৩। বোলিং ফিগারই বলে দিচ্ছে তানজিম হাসান সাকিব কতটা ভূমিকা রেখেছেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পাওয়া ম্যাচে। বল হাতে দলের সেরা বোলারই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তানজিমের সঙ্গে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ও সৌম্য। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় তানজিমের বোলিং গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।    

  

দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রেখে ফিরলেন এনামুল

১৩তম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। জয়ের থেকে ১৫ রান দূরে থেকে আউট হলেন এনামুল। ৩৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩৭ রান আসে এনামুলের ব্যাট থেকে।

শান্তর ৪ চার

পেসার উইল ও’রউকের এক ওভারে ৪ চার তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১১তম ওভারে ডানহাতি পেসারকে ৪ চার হাঁকান শান্ত। জয়ের পথে দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা বাংলাদেশ বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও করছে। 

শান্ত-এনামুল জুটির ফিফটি

চোখের সমস্যা নিয়ে সৌম্য মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে ক্রিজে আসেন শান্ত। এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে চলে ইনিংস মেরামতের কাজ। দুজন দারুণভাবে কাজটা চালিয়ে গেলেন। এরই মধ্যে তাদের জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে। ৩৪ বলে তাদের জুটির রান পঞ্চাশ পেরিয়েছে। যেখানে এনামুলের রান ২৪, শান্তর ২২। বাকি ৪ রান অতিরিক্ত থেকে।  

জয়ের পথে ছুটছে বাংলাদেশ

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জয়ের পথে ছুটছে বাংলাদেশ। ৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৭। বোলিংয়ে তাদের অল্পরানে আটকে দেওয়ার পর এখন ব্যাটিংয়েও ভালো করছে সফরকারীরা। জয়ের থেকে মাত্র ৪২ রান দূরে বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়ায় সাবধানী শুরু বাংলাদেশের

নিউ জিল্যান্ডকে ৯৮ রানে থামিয়ে জয়ের অর্ধেক কাজ করে দিয়েছেন বোলাররা। এবার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব পালনের পালা। লক্ষ্য তাড়ায় সাবধানী শুরু করেছেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। দেখে শুনে শট খেলেছেন। রান নিচ্ছেন সুযোগ বুঝে।

পঞ্চম ওভারের শেষ দিকে মাঠ ছেড়ে উঠে যান সৌম্য। চোখে কিছু একটা হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। নিরাপদ থাকতে তাই মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। 

পেসারদের বোলিং ফিগার

শরিফুল ইসলাম ৭-০-২২-৩ তানজিম হাসান সাকিব ৭-২-১৪-৩ মোস্তাফিজুর রহমান ৭.৪-০-৩৬-১ সৌম্য সরকার ৬-১-১৮-৩

বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান

৯৮ রানে অলআউট নিউ জিল্যান্ড। রীতিমত অবিশ্বাস্য হলেও বাংলাদেশের চমৎকার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। নতুন বলে তানজিম হাসান সাকিব ছন্দ এনে দেন ২ উইকেট নিয়ে। পরবর্তীতে শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে টানা ৩ ওভারে নেন ৩ উইকেট। ফিরে তানজিম আরেকটি উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং স্তম্ভ ভেঙে দেন।

সেখান থেকে সৌম্য সরকার নিখুঁত লাইন ও লেন্থে বোলিং করে তুলে নেন ৩ উইকেট। বাকিদের দ্যুতিময় পারফরম্যান্সে মোস্তাফিজুর বিবর্ণ ছিলেন। কিন্তু তার হাত ধরে শেষ সাফল্য পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রান পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড। এর আগে মিরপুরে ১৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাদের শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার নবম ঘটনা। 

বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯৮ রানে অলআউট নিউ জিল্যান্ড

উইকেট পেলেন মোস্তাফিজুর রহমানও। বাঁহাতি পেসার নিউ জিল্যান্ডের শেষ উইকেট তুলে নিলেন। উইল ও’রউকে বোল্ড করে নিউ জিল্যান্ডকে ৯৮ রানে গুটিয়ে দিলেন। 

সৌম্যর তৃতীয়, নিউ জিল্যান্ড হারাল নবম উইকেট

বল হাতে সৌম্য ঝলক দেখিয়ে যাচ্ছেন। এবার তৃতীয় উইকেট পেলেন ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। তার শিকার অশোক আধিত্য। তার শর্ট বল জায়গা থেকে সরে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন অশোক। নিউ জিল্যান্ড হারাল নবম উইকেট। 

সৌম্যর দ্বিতীয়

টানা দুই ওভারে সৌম্য সরকারের দ্বিতীয় সাফল্য। তার স্লোয়ার ইয়র্কার খেলতে না পেরে বোল্ড হলেন অ্যাডাম মিলনে। আগেভাগে ব্যাট চালিয়ে বলের নাগাল পাননি মিলনে। নিউ জিল্যান্ড হারাল অষ্টম উইকেট।

এবার সৌম্যর উইকেট

নিউ জিল্যান্ড হারাল সপ্তম উইকেট। এবার উইকেট পেলেন সৌম্য সরকার। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হলেন ক্লার্কসন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় স্বাগতিকরা। ৮৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। 

ফিরে তানজিমের আরেকটি উইকেট

শরিফুল দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে আগুন ঝরালেন। সাকিব দিনের শুরুতে থেকেই ছিলেন ভয়ংকর। দ্বিতীয় স্পেলেও ধরে রাখলেন আক্রমণের ধার। বোলিংয়ে ফিরে পেলেন তৃতীয় সাফল্য। টম ব্ল্যান্ডেলের উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। তার বল ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ব্লান্ডেল। নিচু হওয়া বলে দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ নেন মিরাজ। নিউ জিল্যান্ড হারাল ষষ্ঠ উইকেট। 

অপ্রতিরোধ্য শরিফুল, ভয়ংকর শরিফুল

এবার শরিফুল তৃতীয় ওভারে পেলেন তৃতীয় উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলে তাকে খেলার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না নিউ জিল্যান্ড। তার বিষে স্রেফ নাকাল স্বাগতিকরা। এবার তার শিকার মার্ক চ্যাম্পম্যান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ভেতরে ঢোকানো বলে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিলেন শরিফুল। নিউ জিল্যান্ড হারাল পঞ্চম উইকেট। ৫৮ রানে ২ উইকেট থাকা নিউ জিল্যান্ড হুট করেই বিবর্ণ চেহারায়।  ৬৩ রানে তাদের নেই ৫ উইকেট।যার কৃতিত্ব শরিফুল ইসলামের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভারে ৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট। ছোট এক স্পেলে ম্যাচের চেহারাই বদলে দিয়েছেন তিনি।   

শরিফুলের ‘ফিফটি’

উইল ইয়ংয়ের উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০ উইকেট নিলেন শরিফুল ইসলাম। ১৪তম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে অনন্য অর্জনে নিজেকে জড়িয়ে নিলেন বাঁহাতি পেসার। ৩৩ ম্যাচে ২৭.১৬ গড় ও ৫.৫৬ ইকোনমিতে ৫০ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল। 

শরিফুলের দুইয়ে দুই

দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট পেলেন শরিফুল ইসলাম। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথামের পর থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান উইল ইয়ংয়ের উইকেট পেলেন বাঁহাতি পেসার। লাথামকে বোল্ড করেছিলেন শরিফুল। ইয়ংকে তালুবন্দি করান পয়েন্টে। তার লেন্থ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পাওয়া ইয়ং। সেখানে মিরাজ দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নিয়ে ইয়ংকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান। ৪৩ বলে ২৬ রান করে ইয়ং আউট হলেন। নিউ জিল্যান্ড হারাল চতুর্থ উইকেট।  

নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ককে বোল্ড করলেন শরিফুল

বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই রান পান টম লাথাম। সেই পথে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিউই দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। তবে তাকে আজ বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেসার শরিফুল ইসলাম বোলিংয়ে ফিরে প্রথম ওভারে পেয়ে গেলেন তার উইকেট। তার ইনসুইং ডেলিভারী লাথামের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। ৩৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন কিউই অধিনায়ক। নিউ জিল্যান্ড হারাল তৃতীয় উইকেট।

ইয়ংয়ের রান ছুট চলছে

ধারাবাহিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন নিউ জিল্যান্ডের ওপেনার উইল ইয়ং। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটানো এ ওপেনার চলতি বছরে হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডেতে হাজার রান পেরিয়ে যান ইয়ং।

২৩ ইনিংসে ৪৬.৬৭ গড়ে এ রান করেছেন ইয়ং। যেখানে হাফ সেঞ্চুরি আছে ৮টি, সেঞ্চুরি ১টি। চলতি বছর ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান শুভমান গিলের। ২৯ ইনিংসে ১৫৮৪ রান করেছেন ভারতের ওপেনার।

তানজিম ৫-১-৯-২

নতুন বলে চমৎকার এক সকাল কাটালেন পেসার তানজিম। টানা ৫ ওভারের স্পেলে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২ উইকেট। মাত্র ৯ রান খরচ করে মিলেছে এ সাফল্য। প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে দেন ১ রান। ওই ওভারে বাংলাদেশকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। তৃতীয় ওভার ছিল মেডেন। চতুর্থ ওভারে ফের উইকেটসহ ১ রান। পঞ্চম ওভার করতে এসে আঁটসাঁট বোলিংয়ে দেন ২ রান। ভালো লাইন ও লেন্থে ধারাবাহিক আক্রমণ করায় তাকে খেলতে সমস্যা হচ্ছে কিউই ব্যাটসম্যানদের।  

পাওয়ার প্লে’তে দারুণ বাংলাদেশ

প্রথম পাওয়ার প্লে’ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের জোড়া সাফল্যে ২ উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানও ভালো বোলিং করে নিউ জিল্যান্ডকে চাপে রেখেছে। প্রথম ১০ ওভারে নিউ জিল্যান্ড ২৭ রান তুলেছে। বৃত্তের সুবিধা থাকার পরও স্বাগতিকরা এ সময়ে মাত্র ৪টি বাউন্ডারিতে তুলতে পেরেছে।  

তানজিমের দ্বিতীয় উইকেট

প্রথম উইকেটের পর বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন পেসার তানজিম। নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে পেয়েছিলেন উইকেট। তৃতীয় ওভার করেছিলেন মেডেন। এবার চতুর্থ ওভারে পেয়ে গেলেন দ্বিতীয় সাফল্য।

তার বাড়তি গতি ও বাউন্সের বল উইকেট থেকে একটু সরে পুল করেছিলেন হেনরি নিকোলস। শটে ছিল না জোর। ছিল না ভারসাম্য। মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শান্ত সহজ ক্যাচ নিয়ে বাকি কাজ সারেন। ১২ বলে ১ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন নিকোলস। তানজিম পেয়ে গেলেন দ্বিতীয় সাফল্য।

শুরুতেই তানজিমের আঘাত, ফিরলেন রাচীন 

দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নতুন বলে শুরু থেকে লাইন ও লেন্থে মনোযোগী ছিলেন ডানহাতি পেসার। প্রথম ওভারে আলগা কোনো বল করেননি। দ্বিতীয় ওভারে ধরে রেখেছিলেন ধারাবাহিতা। সেই পুরস্কার মিলেছে ওভারের শেষ ডেলিভারীতে। তার সিমের ওপর পিচ করা ডেলিভারী ছোবল দেয়। রাচীন রাবীন্দ্রর ব্যাটে চুমু খেয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ১৬ রানে নিউ জিল্যান্ড হারাল প্রথম উইকেট। রাচীন ফিরলেন ৮ রান করে। 

টস

নেপিয়ারে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। আজ হারলেই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ।

পরিবর্তন

শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিউ জিল্যান্ড কোনো পরিবর্তন আনেনি। পেসার হাসান মাহমুদের পরিবর্তে বাংলাদেশ একাদশে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। 

বাংলাদেশ একাদশ

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। 

নিউ জিল্যান্ড একাদশ

উইল ইয়ং, রাচীন রাবিন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম লাথাম (অধিানয়ক), টম ব্লান্ডেল, মার্ক চ্যাম্পম্যান, জস ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে, আধিত্য অশোক, জ্যাকব ডাফি, উইল ও’রউক।

জয়ে বছর শেষ করার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

শনিবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে চলতি বছরের শেষ পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জন্যও তাই হতে যাচ্ছে। নিউ জিল্যান্ড সফর কিংবা ২০২৩ সাল, ওয়ানডে ক্রিকেটে একদমই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের।

৩১ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১০টি। বিশ্বকাপ বছর থাকায় ওয়ানডে খেলা হয়েছে তুলনামূলক বেশি। ভরাডুবির বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরাজয়ের স্তুপ কেবল বেড়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, এশিয়া কাপের মতো আসরেও তেমন সাফল্য আসেনি। বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে যদি জয় পায় তাহলে কিছুটা মনরক্ষা হতে পারে। সেই প্রত্যাশাতেই নতুন করে আশা বুক বাঁধা।

অধরা সাফল্যের খোঁজে

উপমহাদেশের বাইরে নিউ জিল্যান্ড একমাত্র দেশ যেখানে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ২০০১ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ৯ বার তাসমান পাড়ের দেশটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সফর করেছে।

দেশটিতে যতবার বাংলাদেশের সফর ততবার জমা হয় মন খারাপের গল্প। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ হয় নতুন নতুন দুঃস্মৃতি। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত আঠারো ওয়ানডে খেলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একটিও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি হয়েছে নয়টি। জয় সেখানেও অধরা। আজ আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ শেষ হচ্ছে। ০-২ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ অন্তত একটি জয় কি পাবে? অধরা সেই সাফল্য কি আজই ধরা দেবে?