আগের ম্যাচেই লিভারপুলের সামনে সুযোগ ছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করার। কিন্তু পয়েন্ট খুইয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছিল জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তবে বার্নলির বিপক্ষে আর সেই ভুল করলো না। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল।
ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে লিভারপুল। তাতে প্রথমার্ধে নাভিশ্বাস উঠে যায় লিগ টেবিলে অবনমন অঞ্চলে থাকা বার্নলি গোলরক্ষক ট্র্যাফোর্ডের। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে লিভারপুল এবং গোলও পেয়ে যায়। কোডি হাকপোর সঙ্গে ওয়ান টু খেলে গোলটি করেন দারউইন নুনেস।
এরপর প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ করে যায় লিভারপুল। গোল পাওয়ার একটু পরই হাকপোর পাস পেয়ে শট নেন সালাহ, লাফিয়ে সেই বল বাইরে পাঠান ট্র্যাফোর্ড। ৩০তম মিনিটে হাকপোর শট ঠেকিয়ে আবারও দলকে রক্ষা করেন এই ইংলিশ গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে লিভারপুলের একের পর এক আক্রমণের জবাবে একেবারেই পানসে ছিল বার্নলি। বরং পাল্টা আক্রমণে ৩৯তম মিনিটে আরেকবার বার্নলির জাল বরাবর শট নেন লিভারপুলের ওয়াতারু এন্দো। তবে তার নিচু শট কোনোমতে ঝাঁপিয়ে আটকান ২১ বছর বয়সী ইংলিশ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধেও বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলতে থাকে লিভারপুল। এর মাঝেও সমতায় ফেরার মোক্ষম সু্যোগ পেয়েছিল বার্নলি। ৬৭তম মিনিটে উইলসন ওডোবের্ট দুই জনকে কাটিয়ে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান। দূরের পোস্ট থেকে ইয়োহানের হেড অল্পের জন্য যায় বাইরে।
বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ করেও ট্র্যাফোর্ডের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি লিভারপুল। অবশেষে চূড়ান্ত সময়ের ঠিক আগমুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অ্যানফিল্ডের দলটি। ৯০তম মিনিটে ট্র্যাফোর্ড আর পারেননি। লুইস দিয়াজের ক্রসে দারুণ শটে জয় নিশ্চিত করেন দিয়েগো জটা।
এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ১২ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে ‘অলরেড’ খ্যাত দলটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে।