গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস হেলপার এহিয়া শিকদারের বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষার্থীকে প্রথমে চাকরির প্রলোভন এবং পরে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী বাসে আসার জন্য লাইব্রেরির সামনে একা বসে ছিলেন ওই নারী শিক্ষার্থী। এসময় বাস ছাড়ার বিষয়ে অভিযুক্ত হেলপার এহিয়া শিকদারকে জিজ্ঞাসা করেন। তখন তাকে কুয়াশার মধ্যে বাহিরে না বসে, বাসের ভিতরে বসতে বলেন হেলপার। এরপর কৌশলে অভিযুক্ত এহিয়া শিকদার ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে বিনাপয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদে তার লোক আছে বলেও উল্লেখ করা হয়। সেকশন অফিসার পদে চাকরি পেতে তার কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান শিকদার।
এরই এক পর্যায়ে তিনি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করেন এবং ছবি তুলে দেওয়ার নাম করে শিক্ষার্থীর হাতে থাকা ফুল নিয়ে নেয়। তারপর বাসের পাশের সিট থেকে উঠে এসে শিক্ষার্থীর পায়ে হাত দেন এবং হেনস্তা করেন।
আরেকটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত বাস হেলপার এহিয়া শিকদারের বিরুদ্ধে কোর্টে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি অনেক ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, বাসের ভিতর এমনটা হবে, তা আমি ভাবিনি। এমনটা জানলে আমি ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথাই বলতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত এহিয়া শিকদার বলেন, ‘ঘরে আমার তিনটি মেয়ে আছে। একটি পরিবার আছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনি ওনার সাথে কথা বলেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে প্রথম মৌখিক অভিযোগ জানায়। পরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। এ বিষয়ে আমি যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি, সেহেতু এটা নিয়ে আমি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্যই শাস্তি পাবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’