প্রতিনিয়ত দেশে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা। ২০২৩ সালে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৭৬ জন। এর মধ্য মারা গেছেন ২৬৬ জন। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এইডস দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এইচআইভিতে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ শতাংশ, নারী ২৪ শতাংশ ও তৃতীয় লিঙ্গ এক শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৮৪ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়েছে। এ ভাইরাসে মারা গেছেন ২ হাজার ৮৬ জন।
জানা যায়, এইচআইভি ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী ঢাকায় ৩৪২ জন, দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম ২৪৬ জন। এরপর রাজশাহীতে ১৭৫ জন, খুলনায় ১৪১ জন। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মধ্যে বরিশালে ৭৯ জন, সিলেটে ৬১ জন, ময়মনসিংহে ৪০ জন ও রংপুরে ৩৪ জন এইডস আক্রান্ত হন।
শনাক্তের বাইরে থাকা রোগীদের থেকে এইডস ছড়াচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। তিনি বলেন, এইডস নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রথম টার্গেট এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা। এইডস শনাক্তের হার ৯৫ শতাংশ হলে আমাদের সফলতা আসবে। আমাদের শনাক্তের হার এখন ৭৫ শতাংশ। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। বাকি ২৫ শতাংশ এই রোগ বহন করছে এবং তাদের থেকে ছড়াচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, এইডস আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। সরকার বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, এনজিওগুলো এইডস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। তাও এই রোগ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমাদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সার্জারির সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বারবার ব্যবহার করা হয়, এ থেকেও এই রোগ ছড়ায়।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ'র উপদেষ্টা, ডা. আবদুর নুন তুষার বলেন, এইডস সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ জানতে পারে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময়। তখন এইডসের পুরো মিনিং জানতে হয়। এছাড়া এইডস নিয়ে তেমন কোনো প্রচারণা নেই, এটা আমাদের বড় একটা ঘাটতি।
উল্লেখ্য ২০২২ সালে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪৭ জন, আর মারা গেছেন ২৩২ জন।