রাজধানীর কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় মেম্বারসহ দশজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে হযরতপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামে একটি গ্রাম্য মেলায় স্থানীয় কয়েকজন মেয়ে কেনাকাটা করার সময় পাশের গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী হৃদয় ও সম্রাট তাদেরকে হেনস্তা করে।
এসময় ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বজনরা এগিয়ে এলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দীনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়। পাশাপাশি জুয়েল নামে আরও এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় কবির ও হুমায়ুনসহ আরও চার ব্যক্তি আহত হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল বলেন, হৃদয় ও সম্রাট আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় প্রায় ৮/১০টি মামলা থাকলেও তাদের দমন করা যাচ্ছে না। আমাকেও তারা একাধিকবার মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এবং আমি নিজেও তাদের নামে জিডি করেছি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এ বিষয়ে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।