গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মাটির চুলায় রান্না করতে গিয়ে বৃষ্টি আক্তার (২৬) নামে এক পোশাকশ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
এর আগে গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন।
নিহত বৃষ্টি শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় কালার ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এসআই সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে জানতে পারি, চুলার আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃষ্টির শাশুড়ি আমেনা খাতুন বলেন, গত রোববার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করতে যায়। অসাবধানতায় কোনো এক সময় চুলার আগুন গায়ের ওড়নায় লেগে যায়। হঠাৎ করে তার চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, সে উঠানে দৌড়াদৌড়ি করছে। তার গায়ে আগুন জ্বলছে। এরপর আমি ও আমার আরেক পুত্রবধূ শাহনাজ পানি ঢেলে তার শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহতের শ্বশুর আজিজুল হক বলেন, পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, বৃষ্টির শরীরের ৬৩ ভাগ পুড়ে গিয়েছিলো।
বৃষ্টির ভাই রিপন মিয়া বলেন, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত আমি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে যাই। সেখানে বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে, রান্না করতে গিয়েই তার শরীরে আগুন লেগেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এরপর আমি শ্রীপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।