পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলেছেন, দেশের যেকোনো সঙ্কট সমাধানে পেশাজীবীরা অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে ‘নির্বাচন-গণতন্ত্র-নাশকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা।
পেশাজীবী নেতারা বলেন, নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক চক্র তৎপর আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত অযৌক্তিক ও জনসম্পৃক্ততাহীন আন্দোলনের নামে যে আগুনসন্ত্রাস করছে, নিরীহ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে, জনগণ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে তার জবাব দেবে। আগামীতে যেন বিএনপি-জামায়াত কোনো ধরনের নাশকতা চালাতে না পারে, সেজন্য পেশাজীবীসহ দেশের আপামর জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পরবর্তীতে বিরোধীরা নানা অপর তৎপরতা চালাতে পারে।
তারা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলেই দেশে অগ্নিসন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের জনগণের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভার প্রারম্ভে লিখিত বক্তব্য রাখেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন শীবলু।
আরও বক্তব্য রাখেন—অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, গোলাম কুদ্দুস, ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, ম. হামিদ, অধ্যাপক হান্নানা বেগম, ডা. রোকেয়া সুলতানা, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, অ্যাডভোকেট আবদুল নূর দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, সোহেল হায়দার চৌধুরী, কৃষিবিদ খাইরুল আলম প্রিন্সসহ দেশের বরেণ্য পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবীরা।
আলোচনা সভা শেষে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা এবং দেশের বরেণ্য পেশাজীবী- বুদ্ধিজীবীরা আইইবি’র সদর দপ্তরের সামনে থেকে শাহবাগ অভিমুখে র্যালি করেন।