স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফিক বলায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বরগুনা-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাইদ এ নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বক্তব্যের বিষয়ে কমিটির কাছে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গত বুধবার বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রচারণা সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফিক বলেছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বক্তব্যের বিষয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে শম্ভুর সেই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সভায় শম্ভু বলেন, যারা বলে উন্নয়ন হয়নি তারা ইডিয়েট, সব মোনাফেকি কথা ইবলিশের কথা। ইবলিশ শব্দটি হলো আল্লাহর কথা আর আমাদের ভাষায় হলো শয়তান। আমি আল্লাহর ভাষায় তাদের ইবলিশ বলব। এই ইবলিশদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। এটা কেমন কথা যে উন্নয়ন হয় নায়। ভোট কি চাইলেই দিয়ে দেবে? আমার আমলে এই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক রাস্তাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পশু হাসপাতাল ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাটের জন্য আমি সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। কে বলেছে উন্নয়ন হয়নি, যারা বলেছে উন্নয়ন হয়নি তারা ইবলিশ।
এ বিষয়ে জানতে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, নৌকার প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী মজিবুল হক কিসলু বলেন, প্রার্থীর পক্ষে আমি যথাসময়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দাখিল করবো।
এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় শম্ভুসহ ৯ আওয়ামী লীগ নেতাকে শোকজ করেছিল নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। তাদের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর শম্ভুসহ ৫ নেতাকে জরিমানা সুপারিশ করে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠায় কমিটি।
২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ইসিতে উপস্থিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে অভিযোগ থেকে নিস্তার পান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।