রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের উন্নয়নে ৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরীর নানকিং দরবার হলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।
আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী। দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে তার প্রতীক ‘বেলুন’।
ইশতেহার ঘোষণার সময় আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া বলেন, ‘শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষার মাধ্যমে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। স্কুল-কলেজ-মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে চাই। জাতীয় সংসদ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ, এমপিওভুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুরক্ষা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরীব, দুঃস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরশাদ আলি শিক্ষা বৃত্তি ব্যবস্থা করতে চাই। স্বাক্ষরতার হার উন্নীত করে গোদাগাড়ী-তানোরকে শতভাগ শিক্ষিত ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এছাড়া নির্বাচিত হলে সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবস্থাপনা করে প্রথমেই কর্মমুখী শিক্ষায় জোর দিয়ে দুই উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যবস্থা করব।’
আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া বলেন, ‘প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ব্যবসার অনুকূল পরিবেশে সৃষ্টি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার আমারা অন্যতম প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবো। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের সরকারি উদ্যোগে আইসিটি বিষয় প্রশিক্ষণ প্রদান করব।’
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতকে আরও উন্নত করার কথা জানিয়ে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘গোদাগাড়ী-তানোর অন্তর্গত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোসহ সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী অবকাঠামগত উন্নয়ন, চিকিৎসক নিয়োগ, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবায় গুণগত পরিবর্তন করব। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা করব। এছাড়া গোদাগাড়ী-তানোরে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মানসহ একটি উন্নত নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করব।’
রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও বিদ্যুৎ গ্রামের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডালিয়া বলেন, ‘গোদাগাড়ী-তানোর প্রতিটি রাস্তা ঘাট উন্নয়ন করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করতে চাই।’ কৃষি নির্ভর গোদাগাড়ী-তানোর কৃষকের জীবন মান উন্নয়ন করার কথা জানিয়ে এই প্রার্থী বলেন, ‘নায্য মূল্যে সার কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করা। কৃষকদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত অনুদান সঠিকভাবে বন্টন নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। আমি আদিবাসীদের সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ সকল সরকারি অনুদানের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করবো।’
এ সময় ডালিয়ার সঙ্গে তার সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।