বিসিবি সভাপতি, সংসদ সদস্য এবং বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী—এতদিন এই তিনটি বড় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। এবার কাঁধে আরও বড় দায়িত্ব। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া পাপন প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
মন্ত্রী তালিকায় পাপনের নাম ঘোষিত হওয়ার পরপরই আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলোচনায়- পাপন বিসিবি সভাপতি পদে থাকছেন তো? রাজনীতিবিদ কিংবা ব্যবসায়ী এই দুই পরিচয় ছাপিয়ে পাপনকে ক্রিকেটের মানুষ বলেই জানেন বেশিরভাগ লোক। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি তিনি।
মন্ত্রীত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিসিবি সভাপতি পদে বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে তার। ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না—এমন কোনো নিয়ম নেই।
তাই পাপন মন্ত্রী হলেও আপাতত বিসিবির সভাপতির দায়িত্বও পালন করবেন। তবে এবারের মেয়াদের পর তিনি আর নির্বাচন করবেন না। এমনকি চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার চেষ্টা করবেন তিনি। পাপন বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কিনা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন।
২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে আছেন তিনি।