রাতটি ছিল বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থক, ফুটবলার ও গোটা ক্লাবের জন্যই আবেগের। ক্লাবের ইতিহাসে কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের মৃত্যুর পর তাদের প্রথম ম্যাচ। ক্লাবের সর্বকালের সেরা নায়ককে স্মরণের রাতে হফেনহেইমকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বারার্ন। জয়ের পথে দারুণ এক রেকর্ডের ভাগিদার হয়েছেন হ্যারি কেইন।
জার্মান ফুটবলে এক মৌসুমের মাঝপথে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে এতোদিন সবার উপরে ছিলেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। চলতি মৌসুমে ২২ গোল করে তাকে ছুঁয়ে ফেললেন কেইন। ১৬ ম্যাচ শেষে কেইনের গোলসংখ্যাও লেভানডোভস্কির সমান।
ম্যাচের জয় পরাজয় ছাপিয়ে সবার নজর বেকেনবাওয়ারের দিকে। বায়ার্ন খেলোয়াড়দের জার্সির সামনের অংশে লেখা ছিল ‘ডানকে ফ্রাঞ্জ’, বাংলায় যার অর্থ ‘ধন্যবাদ ফ্রাঞ্জ’। ম্যাচের আগে মাঠে উপস্থিত ৭৫ হাজার দর্শক ও খেলোয়াড়েরা এক মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে স্মরণ করেন এই কিংবদন্তিকে।
কিংবদন্তিকে স্মরণে এদিন ম্যাচের আগের তার বিখ্যাত ‘৫’ নম্বর জার্সি পড়ে অনুশীলন করেন বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শুরুর আগে খেলোয়াড়েরা মাঠে নামার সময় শোনা যায় ১৯৬০-এর দশকে বেকেনবাওয়ারের রেকর্ড করা গান ‘গুটে ফ্রেউনডে’। ম্যাচে সবার জার্সিতে ছিল শোক প্রকাশের প্রতীক কালো ফিতা।
এমন ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে থাকে বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণের পথ ধরে ১৮ মিনিটে গোল করেন জামাল মুসিয়ালা। দ্বিতীয়ার্ধেও এই ধারা নজায় রাখে তারা। তাতে ৭০তম মিনিটে লেরয় সানের কাছ থেকে বল পেয়ে আবারও গোল করে বায়ার্নকে স্বস্তি দেন মুসিয়ালা। যোগ করা সময়ে গোলের দেখা পান কেইন।