সতীর্থরা যখন ব্যস্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রস্তুতিতে তখন জাতীয় দলের পেসার ইবাদত হোসেন লড়ছেন ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে। লন্ডন থেকে অপারেশনের পর এই পেসার আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে।
শনিবারও (১৩ জানুয়ারি) এর ব্যতিক্রম ছিল না। মিরপুরে নিজের প্রস্তুতি চলাকালীন জানালেন নিজের বর্তমান অবস্থা আর ফেরার সম্ভাব্য সময়। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ জানিয়েছিল, জুনে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ইবাদতকে পাওয়া যাবে না।
কিন্তু ইবাদত শোনালেন তার আগেই ফেরার কথা। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই পেসার বলেন, ‘আমি তো আশা করি বিশ্বকাপের আগেই ফিরব, ইন শা আল্লাহ।’
গত জুলাইয়ে ইনজুরিতে পড়েন ইবাদত। আগস্টের শেষে হাঁটুতে অপারেশন হয়। এরপর লম্বা সময় ধরে ছিলেন পূর্ণ বিশ্রামে। ধীরে ধীরে ফেরেন অনুশীলনে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে বেশ খুশি এই পেসার।
‘যেভাবে যাচ্ছে খুব ভালো যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যেভাবে মেডিকেল বিভাগ সাপোর্ট দিচ্ছে, রিহ্যাবটা খুব ভালো করছি। স্ট্রেন্থ ফিরে পাচ্ছি। সেন্ডফিডে কাজ করছি, স্ট্রেন্থ করছি। আশা করি সামনে ভালো কিছুই হবে।’
ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করছেন না এই পেসার। সময় নিয়ে পূর্ণ ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে চান বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের ভরসা হয়ে ওঠা এই বোলার।
ইবাদত বলেন, ‘তাড়াহুড়ো আমিও করছি না। আমি যে প্রসেস ফলো করছি, যেই প্রসেসে খুব ভালোভাবে এগোচ্ছি। গত পরশুদিন আমার দুই পায়ের মাপ নেওয়া হয়েছে, মাসলের। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালোই রিকভার হয়েছে। এই জন্যই মনে হচ্ছে, কষ্ট যেটা করছি সেটার ফলটা খুব ভালো পাচ্ছি।’
২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে ইবাদতকে না পাওয়া। বিশ্বকাপে নিশ্চিত খেলা হাতছাড়া করে ইবাদত ঘরে বসে সতীর্থদের খেলা দেখেছেন। শঙ্কা জেগেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তবে তার আগেই ফেরার কথা জানান এই পেসার।
এভাবে বসে থাকতে ইবাদতের নিজেরও ভালো লাগছে না, ‘ওরা বোলিং করছে, ম্যাচ খেলছে। কষ্ট লাগবেই। স্বাভাবিক। দেখলে মনে হয় একটু বল ধরি, একটু বোলিং করি।’