প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয়টিতেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারলো পাকিস্তান। হ্যামিল্টনে আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে। জবাবে শেষ দিকে ২.৩ ওভারে অর্থাৎ ১৫ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান হার মানে ২১ রানে। ১৯.৩ ওভারে তারা অলআউট হয় ১৭৩ রানে। টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
রান তাড়া করতে নেমে ১০ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ৮ রানের সময় আগের ম্যাচে ঝড় তোলা সায়েম আইয়ুব (১) ও ১০ রানের মাথায় মোহাম্মদ রিজওয়ান (৭) ফিরেন সাজঘরে।
এরপর বাজর আজম ও ফখর জামান দুর্দান্ত একটি জুটি গড়েন ৮৭ রানের। তাতে ৯.৩ ওভারেই তারা তুলে ফেলে ৯৭ রান। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হয়তো জিতে যাবে। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর পিছিয়ে যেতে থাকে। উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত।
৯৭ রানের মাথায় ফখর জামান আউট হন ২৫ বলে ৩টি চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। ২ উইকেটে ৯৭ রান তোলা পাকিস্তান এরপর ১৫৩ রানে যেতে হারায় ৫ উইকেট। আর ১৭৩ রানে হয়ে যায় অলআউট।
বাবর আজম ৭টি চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। এর বাইরে শাহীন আফ্রিদি ১ চার ও ২ ছক্কায় ২২ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি। ১৭.১ ওভার থেকে ১৯.৩ ওভারের মধ্যে চার-চারটি উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বল হাতে অ্যাডাম মিলনে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, বেন সিয়ার্স ও ইশ সোধি।
তার আগে ছোট ছোট জুটিতে এই ম্যাচেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করে নিউ জিল্যান্ড। ফিন অ্যালেন করেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। তিনি ৪১ বলে ৭টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৭৪ রান। এছাড়া কেন উইলিয়ামসন ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন। এর বাইরে ৩ চার ও ২ ছক্কায় মিচেল স্যান্টনার ২৫, ডেভন কনওয়ে ৩ চারে ২০ ও ড্যারিল মিচেল ১৭ রান করেন।
পাকিস্তানের হারিস রউফ ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আব্বাস আফ্রিদি ছিলেন আজ ব্যয়বহুল। তিনি ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আমের জামাল ও উসামা মীর।
ম্যাচসেরা হন ফিন অ্যালেন।