দেহঘড়ি

মুখের ঘা কতদিন স্থায়ী হলে ডাক্তার দেখাবেন

শীত এলে অনেকের মুখে ঘা হয়। মুখে ঘা হলে সমস্যার শেষ নেই। ঘরোয়া উপায়ে মুখের ঘা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা যায়। তবে মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেন? বিস্তারিত জানুন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কেবল জ্বর সর্দি কাশি হলে বা মুখের ভেতর নিজের দাঁতে কামড় লাগলে এমন ঘা হতে পারে। আবার ভিটামিন-সি-এর অভাব থাকলেও মুখে ঘা হতে পারে।

মুখে ঘা হলে করণীয়  লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি। মুখের ভেতরের এই অস্বস্তিকর ঘা থেকে মুক্তি পেতে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। লবণে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য দিনে দুইবার করে কুলকুচি করতে হবে। লবনের পরিবর্তে বেকিং সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন।  মিছরি এবং এলাচ গুঁড়ার মিশ্রণ মুখের ঘায়ে লাগিয়ে উপকার পেতে পারেন।  লিকার চা খেলেও মুখের ঘা কমতে পারে। তবে চা খুব বেশি গরম হওয়া চলবে না, কুসুম গরম চা খেতে খেতে হবে। মুখের ঘা সারানোর আর একটা উপকারি উপাদান হচ্ছে মধু। এতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান। যা জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে।  মুখের ঘায়ে লবঙ্গও রাখতে পারেন। লবঙ্গ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা মুখের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এতে মুখের ব্যথা কমে যায়।

উইকিহাউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুখে ঘা হলে ভিটামিন ১২ এবং ভিটামিন সি-সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নিতে পারেন। হালকা মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। কোনো অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না। মুখের ঘা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘদিন মুখে ঘা স্থায়ী হওয়া আলসারের লক্ষণ হতে পারে। হতে পারে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণও।