আপনার বিবেচনায় বস যদি হন ‘গ্রেট বস’ তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। কিন্তু হঠাৎ একদিন যদি জানতে পারেন তিনি নতুন কোম্পানিতে চলে যাচ্ছেন, ওই পরিস্থিতি আপনার জন্য মোটেও ভালো লাগবে না।
কারণ একজন ভালো বস কাজের সঠিক সমালোচনা করেন, ভুল ধরিয়ে দেন, সমস্যা সমাধানের সুযোগ দেন, অনুশাসন করেন এবং কাজে উৎসাহ দেন। এতে আপনার কর্মস্পৃহা বেড়ে যায়। বসের চলে যাওয়া মানে এই সব কিছুতে পরিবর্তন আসা। সেটা আরও ভালো বা মন্দ দুই’ই হতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে, আপনার গ্রেট বস যদি একা- একা চলে যান, তাহলে আপনার পক্ষে তাকে ফুল দিয়ে বিদায় জানানো ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। কিন্তু তিনি যদি আপনাকেও নিয়ে যেতে চান তাহলে কী করবেন?
যাই করেন না কেনো, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেবেন না। এজন্য দুইটি বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে পারেন। তাহলো বসকে অনুসরণ করার সুবিধা এবং অসুবিধা।
সুবিধা হচ্ছে, নতুন কোম্পানিতে চেনা জানা বসের সঙ্গে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন। তিনি আপনাকে আগের মতোই উৎসাহ দেবেন এবং অনুশাসনে রাখবেন। বসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আপনি মানসিক স্বস্তি লাভ করবেন। বর্তমান কোম্পানির কাছে যদি আপনার আলাদা কদর না থাকে, তাহলে বসের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে।
বসকে অনুসরণ করে নতুন কোম্পানিতে যাওয়ার অসুবিধাও আছে। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোম্পানির সিস্টেমকে প্রাধান্য দেবেন নাকি কোম্পানির বসকে প্রাধান্য দিয়ে চলে যাবেন। কোম্পানির টোটাল পলিসি ভালো হলে একজন খারাপ বসের আন্ডারেও সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করে যেতে পারবেন। আপনি যদি কোম্পানির সংস্কৃতি বা কাজের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে যদি সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে বসের সঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি না নেওয়ায় ভালো।
বিবেচনা করার আরেকটি বিষয় হচ্ছে, নতুন কোম্পানিতে আপনার বসের মনোভাব এবং ব্যবস্থাপনা শৈলীতে পরিবর্তন আসতে পারে। তার কারণ চাকরিটি আপনার জন্য যেমন নতুন আপনার বসের জন্যও নতুন। নতুন কর্ম- পরিবেশে তার প্রত্যাশা বদলে যেতে পারে। এতে তিনি আগের মতো ভালো আচরণ নাও করতে পারেন।
যে বসকে এতদিন নমনীয় এবং সহায়ক ভেবে এসেছেন তার কারণ হতে পারে আপনার বর্তমান অফিসের সংস্কৃতি। সুতরাং অফিসের সংস্কৃতি বুঝে ওঠার দরকার আছে। আপনার বসের নতুন চাকরি যদি অনেক বেশি চাপযুক্ত হয় তাহলে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যেতে পারে এবং সেই চাপের ভাগিদার আপনাকেও হতে হবে।
তথ্যসূত্র: ফাস্ট কোম্পানি