বিপিএল কড়া নাড়ছে দুয়ারে। ইতোমধ্যে খেলোয়াড়রা সবাই যে যার দলের হয়ে শুরু করে দিয়েছেন অনুশীলন। তবে একটু দেরিতেই অনুশীলনে নেমেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। লম্বা সময় বিশ্রাম কাটিয়ে ফিরছেন চিরচেনা সবুজ গালিচায়। বিপিএলের আবহে ফেরা শরিফুলের দৃষ্টি অবশ্য আরও সামনে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
বিপিএলের এবারের আসরে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে মাঠ মাতাবেন শরিফুল। জাতীয় দলের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও আছেন একই দলে। আজ দুই পেসারের যুগলবন্দী দেখা গেল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে। ঢাকার অনুশীলনের প্রথম দিনেই মাঠে ফেরার অনুভূতি জানিয়েছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি পেসার।
গেল বছরটা বেশ ভালো কেটেছে শরিফুলের। শেষদিকে তো সফলতা দেখিয়েছেন বেশ। নতুন বছরেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান এই পেসার। শরিফুল বলেন, ‘গত বছরটা আমার খুব ভালো গেছে, বিশেষ করে শেষ ৬-৭ মাস। নতুন বছরে বিপিএল দিয়েই ক্রিকেটে ফিরব। চেষ্টা থাকবে সেই ফর্মটা ধরে রাখার।’
বিপিএলের পরপরই বাংলাদেশে তিন সংস্করণের সিরিজ খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কা। আছে জিম্বাবুয়ে সিরিজও। এর পরই বাংলাদেশ দল যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এই দুই সিরিজ সামলে বিশ্বকাপের হিসেবটাও মাথায় আছে শরিফুলের, উদ্দেশ্য ভালো খেলা, ‘যতটা ফিট থেকে খেলা যায়, সে চেষ্টাও থাকবে। কারণ, সামনে দেশের হয়ে অনেক খেলা আছে। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’
বিপিএলে ভালো করাই শরিফুলের লক্ষ্য। তবে সেটা প্রাথমিক ধাপেই রাখছেন। তার মূল লক্ষ্য বিশ ওভারের বিশ্বকাপ জানিয়ে এই দ্রুতগতির বোলার আরও বলেন, ‘বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। যেহেতু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের এটিই (মূল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সবাই চাইবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে পারফর্ম করতে, আর নতুন কিছু করতে। এটা বিশ্বকাপেও আমাকে সাহায্য করবে।’
বিপিএলেও অবশ্য সাফল্য দিয়েই শেষ করতে চান শরিফুল, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে চারে ওঠা। সুপার ফোরে (প্লে–অফে) উঠতে পারলে আমরা ফাইনালের চিন্তা করব। আমাদের দলে আমি আছি, সৈকত (মোসাদ্দেক হোসেন) ভাই আছে, তাসকিন ভাই আছে, ইরফান শুক্কুর ভাই আছে, সাইফ হাসান আছে, নাঈম শেখ আছে। দেশি প্লেয়াররা আমরা যদি ভালো করি, উইনিং পারফরম্যান্স করি, তাহলে আমরা ভালো করব।’