জাতীয়

সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। আসন বণ্টনের পর সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ভোটার হন।

আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অশোক কুমার দেবনাথ। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসন পেয়েছেন। নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮টি (নৌকা প্রতীকে জয়ী জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির দুজনসহ), জাতীয় পার্টি দুটি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে। সরাসরি নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পাওয়ায় সংরক্ষিত নারী আসন না পেলেও স্বতন্ত্ররা কোথাও যোগ দিলে তখন হিসাব পাল্টাবে।

এ নির্বাচনে ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয় বলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এখনো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি। উপজেলার পরিষদের তালিকা পেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য কমিশন সচিবালয় প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।