মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা ওভারলোড থাকায় ডুবে গেছে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিক।
তিনি বলেন, ‘ডুবে যাওয়া ফেরিটি অনেক পুরাতন, জরাজীর্ণ এবং ওভারলোড ছিল। পানির অতিরিক্ত চাপে ফেরির নিচের যেকোনো অংশ ফেটে ফেরিতে পানি প্রবেশ করে।’
বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরি ডুবে যাওয়ার বিষয়ে সৈয়দ মুশফিক বলেন, ‘এ ধরণের একটি তথ্য আমাদের কাছেও এসেছে। তবে বাল্কহেড বা অন্য যেসব নৌযান নদীতে চলে, ঘটনার সময় সেখান দিয়ে সে ধরণের কোনো যান চলাচলের সন্ধান পাইনি।’
‘এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী এবং যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারাও বলেছে, বিকট শব্দে ফেরির নিচের অংশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করে এবং আস্তে আস্তে ফেরিটি ডুবে যায়।’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে নোঙর করা অবস্থায় ৯টি ট্রাক নিয়ে ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির সহকারী মাষ্টার। ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে এসেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে অপর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম। সেটি ঘটনাস্থলে এলে শুরু হবে মূল উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন
পাটুরিয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় যানবাহনসহ ফেরিডুবি, জীবিত উদ্ধার ৬
ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে হামজা ও রুস্তম