খেলাধুলা

ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জ জিতে খুশি তামিম

পাঁচ মাস পর প্রতিযোগিতামুলক ক্রিকেটে ফিরে রান করার কাজটা কঠিন। তামিম ইকবাল শনিবার বিপিএলের ফিরে সেই কাজটাই করেছেন। পুরোপুরি করতে পারেননি। তবে যতটুকু পেরেছেন তাতে খুশি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফরচুন বরিশালের হয়ে তামিম ২৪ বলে ৩৫ রান করেছেন। ৫ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন বিশাল এক ছক্কা। দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে তার শুরুর ইনিংস। নিজে রান পেয়েছেন, দলও জিতেছে তামিমের বাড়তি কিছু চাওয়ার নেই। তবে সবথেকে বড় আনন্দ ব্যাটিংয়ে নিজের চ্যালেঞ্জ জেতায়।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘শুরুতে বাউন্ডারি পাওয়ায় আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে গেছে। তবে অনুশীলনেও আমি ভালো ব্যাটিং করেছি, বিকেএসপিতে যে দুটো ম্যাচ সিনারিওতে খেলেছি সেটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তারপরও স্নায়ু তো থাকেই। তবে যখনই আপনি শুরুতে বাউন্ডারি পাবেন সেটা তখন একটু কমে আসে।’

রংপুরের দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তামিম প্রথম ওভারে ৩ বাউন্ডারি পান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে তার ব্যাটের কোনায় লেগে বল যায় বাউন্ডারিতে। পরে দৃষ্টিনন্দন এক কভার ড্রাইভ খেলেন। শেষ বলে কভারের ওপর দিয়ে খেলেন লফটেট শট। এরপর মাহেদী ও হাসান মাহমুদকে ব্যাকফুট পাঞ্চ করে দুটি চার আদায় করে নেন তামিম। মোহাম্মদ নবীর বল এগিয়ে এসে হাওয়ায় ভাসিয়ে বল পাঠান সীমানার বাইরে। পরের বলে একই শট খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

লম্বা সময় পর ক্রিজে ফিরে ৩২ মিনিটে যেটুকু সময় কাটিয়েছেন তাতে খুশি তামিম। তবে পুরো টুর্নামেন্ট কেমন খেলেন সেটা দেখার অপেক্ষায় তিনি, ‘এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং আমার কাছে মনে হয়। কারণ, তিন-সাড়ে তিন মাস পর কম্পিটিটিভ ক্রিকেট খেলা। এর মাঝখানে সত্যি কথা বলতে আমি দুই-আড়াই মাস কোনো ট্রেনিংই করিনি। শেষ দুই সপ্তাহ যা করা… যতই ম্যাচ খেলেন না কেন নার্ভ তো থাকবেই। তবে আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে যে শুরুটা প্রয়োজন ছিল সেটা হয়েছে।’

‘ভালো তো অবশ্যই লাগবে তবে পুরো টুর্নামেন্ট কেমন খেলবো সেটা তো এই ইনিংস ডিফাইন করবে না। ডিফাইন করবে যখন অন্য ধরণের চ্যালেঞ্জ আসবে তখন আমি কিভাবে সামলাই। তবে এটা ভালো শুরু, আমি খুশি।’-যোগ করেন বরিশালের অধিনায়ক।